"স্বপ্নের পাখা"
গুরুগম্ভীর এই নীলাকাশ,
প্রাণ খুলে আজ আনন্দে ভাস।
ছিঁড়ে ফেলি আজ নীচের যাতনা,
পাখা মেলে ধরি মেটাতে বাসনা।
সেই বিশ্বাসে আছে ভালবাসা,
উপরে উড়ান হবে আজ খাসা।
ফেলে বাসা’ঘর এক হয়ে প্রাণে,
চল ভেসে উড়ি সুনীল গগনে।
"কেমন আছো"
কেমন আছো সুমিতা? সেই পূর্ণিমাতে,
মনে পড়ে উপরের কবিতা’টা - হায়,
আবার সেই স্মৃতির রোমন্থন মাত্র,
মনে পড়ে সেই দিন সেই নিশিরাত?
ভাঙ্গা ছাদের নীচেতে তুমি আর আমি,
পড়ছিলাম কবিতা দেখি চাঁদ ছিল,
ছিলে তুমি কি বুঝলে কবিতার ভাষা?
বললে, কি আর তবে - দাও উপহার!
এক কিডনিতে কষ্টে চালাতে পারি না -
অকেজো যে, অপরটা বেচেছি অভাবে,
স্বাদেতে চিনেছি তাকে জাত তার উঁচু,
মণিহার কেনা, সেই দিন থেকে চেনা,
কেমন হোল তোমার সেই উপহার?
শোন উঁচু মন রেখো, চলি সীমাপার।
-------------------------------------------------------------------------------
একটা কথা বলতে চাই, জীবনের কোন বাস্তব কাহিনী’কে, আমি এই সনেটে রূপ দানের চেষ্টা করেছি মাত্র, সনেট লিখতে গিয়ে যেটা আমি অনুভব করেছি, কোন কাহিনী বা আবেগ’কে সনেট নিয়মে লেখায় একটু অসম্পূর্ণতা থেকে যায়। তাই সম্পূর্ণ করতে সংক্ষেপে বাস্তব কাহিনীটা একবার আপনাদের বলতে বাধ্য হচ্ছি :
"সুমিতা (কাল্পনিক নাম) আমার এক বন্ধুপত্নী, যে বন্ধুটির (কবি ছিলেন) উদ্দেশ্যে কবিতাটি লিখেছি তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। কবিবন্ধুটি মৃত্যুকালে আমাদের বলেছিল, আমি কখনো নিজের মনকে ছোট বলে পরিচয় দিতে রাজী নই।"
উপরের প্রথম কবিতাটি সাধারণ ছন্দ বিন্যাসে লেখা কবিতা, নীচের’টা সনেট নিয়ম মেনে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ করেছি পরীক্ষা’মূলক লেখা হিসাবে। কিন্তু কি ধরনের সনেট আর কোন পর্যায়ের সনেট হোল, তা বিচারের দায়িত্ব আমি আমার প্রিয় কবি বন্ধুদের উপর ছেড়ে দিলাম। এই কবিতা দুটো’কে বন্ধুস্মৃতির উদ্দেশ্যে একটা মিশ্র রূপদানের চেষ্টা করলাম।
নিজস্ব চিন্তাধারা বা লেখায় কোন ত্রুটি থাকলে আপনাদের ক্ষমা প্রার্থনীয়।