ছিলাম ভাল একলা মনে কাজে অফিস সংসারে,
ছিলেম তবু শান্তি হারা মনের আজব ভাণ্ডারে।
ঘুরি ফিরি হেথা হোথা অফিস কাজে ঘর মাঝে,
সঙ্গ খুঁজি এদিক সেদিক আপন মনের দিন সাঁঝে।
খ্যাপা পাগল মন যে আমার বোঝাই তাকে কান ধরে,
তবুও খ্যাপা মন যে আমার রইল আপন জেদ ধরে।
নূতন আলোর আশায় খোঁজে শীত সকালে কোন বনে,
কর্ম কাজে ব্যস্ত রাজে দৃষ্টি যে যায় আনমনে।
দেখে পরী দাঁড়ায় এসে মনের শ্মশান বন্দরে,
হাত-ছানি দেয় স্নেহে সুধায় নাচবি দেহের অন্তরে।
কখন নিজে রাজা সেজে ফকির সেজে প্রান্তরে,
কবি সেজে দেখতে পারিস আপন নেশায় মন ভরে।
খেলারচ্ছলে ভিন্ন রুপে যতই সাজাই সাধ করে,
আপন খেলায় অন্তরেতে দিন যে কাটে মৌজ করে।
পরী বলে রাখিস আমায় সবার থেকে দুর করে,
সদাই রাখিস খেলারচ্ছলে রূপকথারই রাজ ঘরে।
দেখবি সুখে বাঁধন ছাড়া আজব খেলায় ডুব মেড়ে,
পাগলা ভোলা মন যে নাচে সোনার পরীর হাত ধরে।
তপ্ত দিনে নিমের ছায়ায় শীতল হাওয়ায় বুক ভরে,
এমনি করে দিন কেটে যায় গল্প কথা গান সুরে।
নিয়তি তাই ধেয়ে এলো ভীষণ বেগে ঝট্-করে,
উড়িয়ে ধুলো ঝরের রাতে বজ্র দিয়ে হুংকারে।
পাগল হাওয়ার মরণ তালে ওড়ায় আমায় ঝংকারে,
ভাঙলো যত কাঁচের প্রদীপ নিভল ঝরের ফুৎকারে।
দেখি আমি ধুলোয় পড়ে রূপ কথারই রাজ ঘরে,
খেলার পুতুল ভেঙ্গে গড়ায় সামনে আমার যম দ্বারে।
তবুও আমার মন যে খ্যাপা খোঁজে পরী চার ধারে,
বুকের কান্না উপচে উঠে, অশ্রুধারায় চোখ ফেটে।
কান্না যে আজ শুকিয়ে গেছে ভাঙা মনের চৌকাঠে,
পরী হারা খুঁজি তারে আজব মনের চার পাশে।
বোধ হয় পরী আসবে আবার পাগলা ভাঙা মন মাঝে,
তাইতো আবার খুঁজে ফিরি অফিস কাজে ঘর মাঝে।