কবি, আমি চাই আমার উলঙ্গ দেহের চামড়ার উপর দিয়ে তুমি একটা কবিতা লেখ ।
তোমার কলমকে তুমি, তোমার জিহ্বার মতো ব্যবহার করো, যদি দুজনার সম্মতি-হাওয়ার কেন্দ্রবিন্দুর নাম ভালোবাসা হয়, তবে ভালোবেসে উঠুক তোমার ঠোঁটের উতপ্ত ঝড়, শুধু একটা নক্ষত্র খচিত শীতল রাতে উষ্ণতার স্পর্শে রাঙ্গাক আমার মৌন শরীর ।
তোমার উষ্ণতার আদিম ইচ্ছার নানা রঙ্গের কালি গুলো খাঁচা থেকে বের করে, সেই প্রবাহিত কালির একটি প্রেমের কবিতা লেখ,
দেহতত্ত্ব নিয়েই তো প্রেম ভালোবাসা, নাকী অন্যকিছু ?
মাঝে মাঝে এই দেহের খাঁচায় সব কিছুই গুলিয়ে ফেলি, বাইরের সাথে আমার একতারায় তাল ঠুকতে গিয়ে ।
তুমি কি কখন অস্বীকার করতে পার, আমার কথা গুলো অদ্ভুত আর বেখাপ্পা ?
দেখ দেহের ভিতরেই তো আমাদের বাস,
নিশ্বাস আর নিশ্বাস ততক্ষন আশ !
শুধু দেহ দিয়েই মাপতে পারি প্রেমের উত্তাপকে !
কামনায় ও ইচ্ছায় ভরা আমার সম্পর্কে সব কিছুই লেখ, তোমার কলম দ্রুততর চালিও আমার শরীরের উপর দিয়ে, আমার উলঙ্গ দেহকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দিও তোমার উষ্ণতার বন্য কালি দিয়ে ।
বড় সাধ হয়, সেই শীতল রাতে ফেলে দিও গায়ের কাঁথাটি, কবিতা লেখার আগে !
ইতি,
অজানা বোষ্টমী !