পাঞ্চালী মনে পরে সেই ছোট্ট দোতলার স্টুডিও
ঘুলঘুলিহীন ঘর একটা
টেক গুলো তখন, বাকুম বাকুম শব্দ-তরঙ্গ,
নিচে ছিল টালিরবস্তি, টলিগঞ্জের এঁদো গলিটা
চোখদুটো আমার তখন,
তোমার সমগ্র কবিতার পক্ষপাতে
পাশে কেউ ছিল কি তখন?
মনে নেই...
হয়ত বা কিছু, সীতার মতন
জনককন্যা নির্বাসিত-
রাক্ষুসে এই শহুরে লোকালয়ে মুঠোমুঠো হাতের মুঠোয় আদিমতা,
কতটা সুন্দর হলে সুন্দরনবন হয়ে যায়
কত বেগ বাড়লে ঝড়ের দাপটে
সবুজ সরিয়ে আবার নগ্ন হয়ে পরে অক্ষম বিলাপ,
বাকী থাকে ক্লীবদের চারপাশ...
জলে ওঠে চতুর এলইডি ফ্লাস,
ক্যাটআই ফ্রেম হতে
পিছলিয়ে মিলিয়ে গেল দূরে...
তারারাও অন্ধকারে জ্বলে,
কবে কতদিন আগে...
তোমার দুচোখ চারচোখ হয়েছিল কবে,
আষাঢ়ে মেঘে আদ্রতার স্পর্শ হয়েছিল!
তবে কেন ফসল ফলেনি...
অকালবৃষ্টির ভয়ে?
বহুদিন পর আবার দেখা স্রোতহীন ঘাটে...
দূরে জনকোলাহল তথাপি নিঃসংজ্ঞ তটে
ভাঁজে ভাঁজে শাড়িতে তখন তমাল বীথি
নিঃশ্বাসে পুরুষচিহ্ন, একা একবার নিজস্ব চীৎকারে
ধাক্কা মারে ঈশান বাতাস, ছলাত্ ছলাত্ ভাঙ্গা ঢেউ
অজান্তে বলে উঠি...
'ওখানে শরীর নেই সব কবিতারা সত্যবাদী নয়,
সম্ভাব্য শরীরের ছত্রাকার রক্তবীজে'
কালপুরুষের ভীড়ের মাঝে অযথা ডাকিনি তোমায়...
আজও দেখলাম নিঃসংজ্ঞ নও, তবুও একা
সাঁতারু নই অন্ধকার গর্তের গভীরে নামতে পারিনি,
আজও ভয় পাই, ওখানে যে সীতার চোখের জল ভরে আছে।