সময়ের নিস্তব্ধতাও যখন
হারিয়ে যায়,
একাকি গহন মনের চামচিকা গুলো
চিরন্তনী সত্ত্বাকেও লাথি মারে।
প্রবহমান জীবনধারা
কোথায় যেন বাধা পেয়ে
উজান গাঙে বইতে থাকে।
মাথার ঘুড়ঘুড়ে পোকাটা তখন
ব্যাস্ত থাকে দায়িত্ব বোধের ঘূর্ণিপাকে।
হ্যাঁ দায়িত্ব বোধ!
যে শব্দটাই শেষ করে দিলো
আমার চিরন্তনী সত্ত্বাকে।
সাধের স্বপ্ন গুলোও আজ দিশেহারা,
দায়িত্ব বোধের অগ্নিপরীক্ষায়
আমি ক্লান্ত।
তাই পরিশ্রান্ত মন মুক্তির বিদ্রোহ করে।
স্নেহভরা মোহ জালে যারা
দায়িত্বের বোঝা চাপানোর ধান্ধায়
তারা বোঝার খোজ রাখতে গিয়ে
ভুলে যায় চন্ডাল কুলির
বুকফাটা তাজা রক্ত
এখন জমে খয়েরি।
তবুও নৃশংশতায় প্রস্তুত
নতুন কোনো ভারের সংযোজনে।
আর নয় সহৃদয়!
অনেক দিয়েছি ভুলের মাশুল
এ মনে এখন বিদ্রোহের আনাগোনা,
দাসত্ব শৃঙ্খল ভেঙে এসেছে এবার
মুক্তির দিন গোনা।