চন্দ্র সূর্য্য সাক্ষী রেখে বিয়ে
তাই আর্শিবাদের নিমন্ত্রন পত্রটা
পেয়েছিলাম অনেক আগেই।
যেতেই হবে, আর্শিবাদ ভিন্ন
নবদম্পত্তির অকল্যান হয় যে।
দুদিনের বৃহৎ পরিকল্পনা, মহাসমারোহ
কিন্তু কানার আবার দিন রাত
খাদ্যান্বেষণে রাখাল তাড়ার পিছনে
ছুটতে ছুটতে কখন পৌছে গেছি
তেপান্তরের মাঠে।
অনিবাহ্য কারণ বশত অনুপস্থিতির নোটিস।
অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন, শুধু পরিকল্পনায়য় ভাটা।
লোকের চোখে ফাকি বাজের কারখানা।
তা হলে কি হবে, অতীত সময়
বর্তমান নয় যে।
লাজ লজ্জার অন্ধকার পেরিয়ে
আস্তানা গেড়েছিলাম ঘড়ের কোনে।
কিন্তু বন্যা কী আর বাঁধ মানে?
প্রদীপ না ঘষলেও প্রদীপের দৈত্য
এসে হাজির।
কিছু বোঝার আগেই প্রণামের ভঙ্গি,
দু' পাণি মৃত্তিকার স্পর্শে হতচোকিত।
এ কী কান্ড!
তারপর অনেক খোজা খুজি
না! পাওয়া গেল না
পদযুগলের অনুসন্ধান।
আশ্চর্যান্বিত হওয়ার কিছু নেই।
মহাজাগতিক শক্তি রাহু কেতুর আশ্রয়ে
ক্রমাগত নত শির
আজ আশ্রিত পদুকালয়ে।
আপাদমস্তক এক গোলক ধাঁধায় বন্দিত,
বিকৃত রক্ত মাংসের শরীর আজ অস্তিত্ব সংকটে,
তাই পদযুগলের সন্ধানে ব্যর্থ
বেচারির চোখে মুখে একরাশ হতাশা
বড় আশা নিয়ে এসেছিল।