হীরের রুটি, সোনার ডালনা খাবি যে তিন বেলা
ভেবেই কি রে জমিয়েছিলি ধন-রত্নের ঢেলা ?
যে শিশুটি কাঁদে রোজই একমুঠি ভাত চেয়ে
তাকে ভুলে কি করে ধন হজম করিস খেয়ে ?

একটিবারও ভাবিসনি রে সেই ছেলেটির কথা
বে রোজগেরে যার বুকে আজ ধুঁকছে নীরবতা ?
অসহায় এক বুকে বন্দী মমতা যে মায়ের
সেই মা পেরোন নিষিদ্ধ রাত ক্ষত মোছেন গায়ের !

দিতিস যদি সোহাগ প্রলেপ সেই ক্ষতেরই ওপর
তোর মাথাতে থাকতো আজকে আদর্শ মা-র টোপর ।
তা না করে শরম হায়া খেলি তুই চিবিয়ে
ইজ্জত বেঁচে ঘরের বাতি দিলি রে নিভিয়ে ।

চারিদিকের ছি ছি রবে তোর কিছু যায় আসে ---?
তোদের যত আটফাটাং সব ক্ষমতারই পাশে !
নারী জাতকে কলঙ্কিত করলি অবহেলায়
লোভ লালসার মোহে পড়ে ডুবলি পাপের ঠেলায় ।

সেই পাপেরই হিসেব হবে আজকে কড়ায় গন্ডায়
যতই ছুঁড়িস হাত পা জলে তোদের পাপ না খন্ডায় ।
কৃতকর্মের ফলঅনুসার বিচার ঠিকই হবেই
নয় নরকে--- সামনে সবার, বিচিত্র এই ভবেই !