আমি এখন লিখব ।
এই জায়গাটায় আমি স্বাধীন।
চিন চিন ব্যাথার মত, বাহান্ন'র কথার মত,
বুকের বা'পাশে, ডান হাত রেখে,
বয়স চৌত্রিশ বেকার ছেলেটার মত,
একাত্তরের চেতনায় চিত্ত চিন।
মিলাদের জিলাপি পাইছি,
কেউ দোয়া কইরা, কেউ না কইরা।
পাইছি তো।
একটা কইরা সব্বার ভাগে,
আমার ভাগে চাইড্ডা,
জিতছি তো।
ঈমাম সাহেব ,ডান পকেটে হাত,
বড় জোব্বায় একটু গরম লাগে, ব্যাপারটা,
বুজছি তো।
যাউকগা, এতো কিছু বুঝি না।
দৌড়াইয়া বাইত যামু, ভাত খামু,
আর কিচ্ছু কমু না।
কিলাইগ্গা কমু? টেকা খাইয়া ভোট দিছি,
আগে ভাত খামু, পরে কমু।
আইচ্ছা আমার তো ক্ষিদা লাগে,
তাই কথা কইতে পারিনা।
যারা দেশ চালায়, তারাও কি আমার লাহান?
আমিতো সেই স্বাধীন, নিঃসাধীন।
খালি ক্ষুদার ডরে কথা কই না।
বড় হওয়ার ভাঁজে, কত্ত কিছু মন চায়,করি না।
একজন কইছিল দেশটা হের স্বামীর,
আমরাও মাইন্না লইছি,
মিলাদের জিলাপি পাইছি তো।
আরেক জন কয় দেশটা হের বাপের,
মাইন্না লইছি, ঐ যে জিলাপি পাইছি।
তাই এহন বাপের দেশে ভাড়া তাহি।
আবার ক্ষুদা লাইগ্গা গেছে,
এহন আর খাইতে ইচ্ছা করতাছে না।
লেখতে ইচ্ছা করতাছে।
আমি ভারত যামুগা। ভারতে ভাত আছে।
ভারতের মাইঝ থেইক্যা র উডাইয়া ,
আমগো দেশে রাইখ্যা দিমু।
র রং রং রঙ্গিলা গান গাইব , আমি ভাত খামু।
আমি কি স্বাধীন, নিঃসাধীন। হা হা হা।
আমার একটা না দেখা বন্ধু আছে,
নাম মিনহাজ উদ্দিন।বিরাট লেখক।
ফেইসবুক এ তার মেলা বক বক।
ও যখন এই লেখাটা পড়বে, তখন কি ভাববে?
আমি হইলে কইতাম, বন্ধু ক্ষুদা লাগছে ভাত দে।
নাইলে দেশ খামু। কিরে কিছু কবি?
কিছুতো কওন লাগবো, নাকি তুই ক্ষুদা হীন।
জানোছ বন্ধু মড়া গো ক্ষুদা লাগে না।
কি তাজ্জীব !
নিজের ভেতর আঁতকে ওঠা মন বলছে,
আমি এখনো লিখছি ,
মুক্ত হাতে মুক্ত ভাবনা বুনছি,
আর আশে পাশে নিকোটিনের ধোঁয়া খুঁজছি।
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অথবা তারও পরের ,
তোমাদেরকে বলছি, আমাদের একটা ঘর আছে
নাম তার কুয়াশা।
যার আচ্ছন্নতা থেকে আমরা ,
কখনোই বেরোতে পারিনা।
আমাদের ভোর আসে মাঝে মাঝে,
অনেকটা ঈদের মত।
আমরা বিকেলটাকেই ভোরের মত দেখি,
নিকোটিনের ধোঁয়ায় কুয়াশাচ্ছন্ন।
আমরা পিনাকী ভট্টাচার্য এর দিকে তাকিয়ে থাকি,
তারপর বলি আমরা ওনাদের মত মানুষের জন্য গর্ভবতী।
আমরা বীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশটা বিক্রি হওয়ার
অপেক্ষায়, একাত্তরের চেতনায়,
আমরা চিত্ত চিন স্বাধীন।
আমাদের কি ক্ষুদা লাগছে?
আচ্ছা, ক্ষুদার রাজ্যে কয়টা পৃথিবী?
নাকি কিচ্ছু নাই।
বাপের বাড়ীর ঘর জামাই, ন্যাংটা দুলাভাই।
ন্যাংটা দুলা ভাই, কত্ত স্বাধীন!