আগে সময়ের সাথে দেখা হতো,
এখন সময়ের গল্পের সাথে দেখা হয়।
আগে নিজের সাথে কথা হতো,
এখন নিজের থেকে পালিয়ে বেড়াই।
সময়, সময়ের গল্প আর আমি,
এক সাথে আর হাঁটি না।
মেঘনা নদীর মাঝখানে লঞ্চের ছাদে,
ভেজা জবা ফুল দেখে,
দৌড়ে বেড়ানো শৈশব খুঁজে বেড়াই।
মরচে ধরা ফ্যান এর বেয়ারিং,
মনে করিয়ে দেয়,
হরতালের ফাঁকা রাস্তা ,
খর খর শব্দের ছুটে চলা,
আর পাশ থেকে রাশ ভারী শব্দ।
তোরা আর মানুষ হইলি না।
তখন বুঝি নাই, আজ বলতে ইচ্ছে করে,
এই দেশে মানুষ কাকে বলে?
আমি তো দেখি, সবাই জনগণ।
আলসেমিতে চোখ খুলে বেলা বারোটায়।
চায়ের কাপে, এই দেশের যে কী হবে,
আল্লাহই ভালো জানে।
এই দেশে আর থাকা যাইব না।
চায়ে চিনি কম, দুধ বেশি, কড়া লিকারে,
বিড়ির সুখটানে বলে ,
ট্যাকা, লেইখা রাইখো,মাস শেষে দিমুনে।
মাস আর শেষ হয় না।
আমার জবা ফুল যেখানে ছিল,
এখনো সেখানেই আছে,
আমি আর সেখানে থাকি না।
হঠাৎ জবা ফুল আমারে কয়,
কেন এমন স্বপ্ন দেখাইলেন, দেখলেন?
আমি চুপ, আমার জবাব নাই।
আমিতো আর মানুষ নাই,
আমি এখন জনগণ।
জনগণের চোখের সামনে পদ্মা, মেঘনা,
দিগন্ত পেরিয়ে চন্দ্র, সূর্যের আনাগোনা।
এক সাথে বয়স বাড়ে,
বাতাসের ঝাপটার মত বাড়ে, দীর্ঘ শ্বাস।
শুধু তাদের সময়,
সময়ের গল্প, একসাথে হাঁটে না।
বয়ে বেড়ায় "এক বুক যন্ত্রণা।"