অনেক বছর পরে___
আমাদের জীবন যখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে,
ঠিক তখনো কি তুমি মনের খুব গহীনে
আমাদের যৌবনের চিত্রটিই সাজিয়ে রাখবে?

নাকি সেখানেও চলে আসবে বার্ধক্যের চিহ্ন;
সাদা চুল,আচিল যুক্ত খোসখসে ভাঁজের চামড়া,
আর ঝরে পড়া ফোকলা দাঁতের হাসি।

হয়তো দুর-প্রান্ত থেকেই চোখের কোন এক পলকে,
মনে জাগবে আমাদের সমকালীন জীবনের চিত্র।
সাদাকালো ফিল্মের মতো উদয় হবো কল্পনার জগতে,
আর ভাবতে থাকবে তুমি,
ভাবতে ভাবতে কৌতূহলী হয়ে নিজেকেই জিজ্ঞাসীবে,
জোছনার আলো কি আগের মতোই রাঙ্গিয়ে দেয় তাকে?
এখনো কি বৃষ্টির নাচনে রোমাঞ্চিত হয় তার হৃদয়?
নাকি কালের ঘ্রাসে বিকল হয়ে পড়েছে সব অনুভূতি।

হঠাৎ তোমার অস্থির মন অনেক বেশি প্রফুল্লিত হবে;
সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখবে,
একই তাপে তুমি-আমি বেঁচে আছি।
যেখানে ছোট্ট একটা ছাদ থাকার কথা ছিলো
সেখানে পেয়েছি বিস্তৃত নীলাভ নীড়।
একই সঙ্গে অক্সিজেন থেকে নিশ্বাস নিয়ে,
আবার সেগুলো একই বায়ুমণ্ডলে নিঃসরণ করছি।
ভেবে দেখবে তখন,
তোমার আমার মিলন না হলেও
নিঃসরিত শ্বাস-প্রশ্বাসের মিলন ঠিকই হচ্ছে।

০২ সেপ্টেম্বর,২০২১
বৃহস্পতিবার,সন্ধ্যা ৭:০০ PM
সাচ্চু ভাইয়ের মেস।