শোনা যায় কোকিলের ডাক,
দেখা যায় পচা ডোবায় হাসের বিশাল ঝাঁক,
দেখা যায় ঘন বন-জঙ্গল আর ঘাস,
কিন্তু ছোট্ট কুটীর টি হতে দেখা যায় না আকাশ।
আকাশ দেখেই বা কি করবে!
আকাশ দেখা তাদের সাথে কি চলবে?
ওই আকাশ তারা দেখে, যারা স্বপ্ন দেখে-
যারা স্বপ্নটাকে বাস্তব করতে শিখে,
কিন্তু ছোট্ট কুটীর থেকে স্বপ্ন দেখ তেও সে শিখে নি-
স্বপ্নের ছবি আঁক তেও সে পারেনি।
নাম তার মনরূপ,
যেমনই তার নাম তেমনই তার রূপ।
ছোট কালে রূপ দেখেই তার এই নাম
তবে কি হলো এখন কোথায় তার সেই দাম?
ছোট্ট কুটীরেই আবদ্ধ এখন জীবন,
হয়তো এখানেই হবে মরণ।
সৌন্দর্য, নাম কিছুই না,
যদি নিয়তি তোমায় বলে, "না।"
এটাই তো নিয়তির খেলা হায়!
সবাই কি আর সবকিছু পায়?
এখন গালের চামড়া তার ঝুলে পড়েছে
সাথে তার চুল সব সাদা হয়ে গেছে,
তবুও কষ্টে জীবন চলে-
মানুষের বাসায় কাজ করে বলে।
এখন চেহারায় আর সেই ঔজ্জ্বল্য নেই,
কষ্টে জীবন-যাপন করে বলেই!
স্বামী ও তার ছেড়ে চলে গেছে
না ফেরার দেশে,
এখন সেই রূপবতী কে ঘুরতে হয়
বিধবার বেশে।
জগৎ সংসার এমন অদ্ভুত-ই
যার আছে সে "বলে"
আর যার নেই-
সে "থাকে পায়ের তলে।"
একদিন প্রতিদিনের মতো সে ঘরে বসে আছে
হঠাৎ খবর পেলো
তার মেয়ে রাস্তায় পরে আছে শুয়ে,
সে গেল তারা তারি দেখতে
দেখলো মেয়েটি তার পরে আছে-
চোখ দুটি কান্নায় গেছে ধুয়ে।
মেয়েটি তার হয়েছে নির্যাতনের শিকার,
চোখের পানি ঝরানো ছাড়া কিছু করার নেই আর।
সবাই চলে গেলেও দুঃখিনী রয়ে যায় মেয়ের পাছে,
কি আর করিবে,
এই জগত সংসারে গরীবের কি কথা কার কাছে?