ক্লান্ত শরীরে
ঘামে ভেজা সারারাত ।
বিদ্যুৎ অফিসের ফাঁকিবাজি
কারসাজ ।
নষ্ট ব্যাটারীর ঘড়ির দিকে
তাকানোর সময়টাও হয়নি
অনেকদিন।
তবুও ঠিক সাড়ে ছয়টায়।
মোবাইল এলার্মে ঘুম ভেঙ্গে
দ্রুত শার্ট গায়ে ছুটে চলা।
১০ টাকার রিক্সার পথ।
এরপর আবার হেঁটে চলা।
কর্মস্হলে ঢুকেই যেন সব ক্লান্তি
ঝেড়ে ফেলে ঘোড়ার টগবগে দৌড় ।
অতঃপর কখন যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল।
সেটা বোঝা কিংবা দেখার
কোনটার সুযোগ হয়নি।
কখনও নিভূ নিভূ সন্ধায়
কিংবা এশার পবিত্র ধ্বনির
সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফেরা।
জুতো খুলে
মোজার চিকে মরা গন্ধে
রুমমেটের প্রায়সই অভিযোগ ।
বাথরুমে পানি না থাকার
ঘটনাও নিত্যদিনের।
ঘরের আগে রান্না ঘরে
পাতিল তুলে আইটেম দেখার
অভ্যাসটা আজও যায়নি।
এরপর লুঙ্গি কিংবা বারমুডা পরে
এক মাস ধরে বিছানো
বিছানার চাদরে এলিয়ে দেয়া শরীর
যদিও ঘুম ছাড়া আর কিছু বলেনা।
তবুও ফোনের ওপাশের মানুষের রাগ অভিমান
মেটাতে মেটাতে রাত তখন সাড়ে ১২ টা।
আবারও সেই ভোর ।
জেগে ওঠার গল্প।
নতুন জেগে থাকা স্বপ্ন।
কিংবা শুক্রবারের আশায়
দিন গুণতে থাকা।
আবার কখনও জেনারেল ডিউটি নামের
অসভ্য শব্দটি
ঐ বিশ্রামটুকুও কেড়ে নেয়।
তবুও দিনশেষে নামের পাশে
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
গ্রামের চাচা,
চায়ের দোকানে বসে
মোটা বেতনের গল্প শোনায়।
কিন্তু এই ঘামে ভেজা শরীরে
ক্লান্ত বিশ্রামহীণ ঘোড়ার শব্দ
কেউ শোনেনা ।