বেলকুনি আর চুলকুনিতো চিপায় চাপায় হয়
বারান্দাতেই গেলেই পরে নাহিদ ভাইয়ের ভয়
আমরা কিছুই জানি নাতো নাহিদ ভাইই কয়
বেলকুনিতে যাওয়া নিষেধ কখন কিযে হয় !
একদিন আমি শুয়ে আছি বিছানার উপরে,
চমকে উঠে দেখি ওমা! নাহিদ ভাই কি করে!
হঠাৎ উঠে গেলো দৌড়ে পশ্চিমের বারান্দায়
পড়নে তাহার গামছা শুধু , ছিল খালি গায়।
আবছা চোখে বোঝার চেষ্টা কাহিনীটাকি
ওপারের ঐ বেলকুনিতে কোন যে রূপসী!
ঘুমের ভানে উঠে দেখি, ইহা কেমন কান্ড
ওপারে এক কাজের বুয়া,হাতে তাহার ভান্ড।
নাহিদ ভাইয়ের রুচি তবে এতই নিচে গেল !
হাজার হাজার মেয়ে থাকিতেও কামের বুয়া পেল
কষ্টে আমার বুক ফেটে যায় চোখ করে ছলছল
সম্ভাবনার তার ভবিষ্যতটা নষ্ট করবে, বল?
এই ভাবিয়া আমি এবার, এগিয়ে গেলাম কাছে
নাহিদ ভাইয়া উপরের পানে মিটি মিটি হাসে
বুঝলাম এবার কাহিনী ভিন্ন,বুঝতে হবে মোরে
নাহিদ ভাই উপরের পানে হাসছে কাহার তরে?
আরেকটু যখন পা পাড়াবো এমন সময় ভাই,
"আতিক তোমারে কি বলেছি,মনে তোমার নাই?
এই বারান্দায় আসা নিষেধ বলেছে এলাকার লোক,
যতই তোমার কাজ থাকুক আর যত জরুরীই হোক"
-তাহলে ভাইযে আপনি একা বসে আছেন তবে (আমি)
"মুখে মুখে তর্ক করা শিখলে তুমি কবে? " (নাহিদ ভাই)
-উপরের ঐ বারান্দায়তো আন্টি একজন থাকে
"বেয়াদব তুমি বলিতে কি চাও খোলাসা কর আগে"
-না মানে,ঐদিকেই চেয়ে মুচকি মুচকি হাসেন
সময় গময় সব সময় যে বারান্দাতেই আসেন
"আসি,আমি সিনিয়র ভাই এলাকার লোক জানে
তোমার এতো ইন্টারেস্ট ক্যান,বুঝলামনাতো মানে ?"
এই শুনিয়া মন ভাঙ্গিয়া পিছন পানে ঘুরে
বারান্দাতে আর যাবোনা, চলে এলাম দূরে।
কে কি করে কেন করে ,সেটা ব্যক্তিগত কারণ
আমার কাজতো কবিতা লেখা,ওসব জানা বারণ।
শোভন আর মোফাজ্জল ভাই বললো জোর করে
তাই লিখলাম এই কবিতা নাহিদ ভাইয়ের তরে।
দোষ আমার এতটুকুনও নেই, বললাম নাহিদ ভাই !
আমার কাজতো কবিতা লেখা,খাই দাই আর ঘুমাই।
#জনৈক বড় ভাইকে নিয়ে লেখা
ভাই শুধুই মজা রাগ করবেন না ;)