বাতাসে বেদনার গন্ধ,
বয়ে চলে চার দিকে।
শুনে কি সে শ্রাবণ ঝড়ে,
রক্তাক্ত আমার-
দেহ ও মন।
আমি পথের দিশারী,
পথ চেয়ে থাকি;কোনো,
সন্ধ্যায়- পথিকের আঁশায়।
হৃদপিন্ড ধুকধুক করে,
ঝড়ে কাঁপে; আমার-
দেহ ও মন।
আমি হাঁটি কাঁশবনে,
সাদা পালকের গন্ধ মেঘে।
স্মৃতির মিনার বুকে নিয়ে,
আঁশায় বাঁধি আমার-
দেহ ও মনের কুঁড়ের ঘর।
চেয়ে থাকি তিতাসের বুকে,
পালের ডিঙি বয়ে চলে যায়।
খুঁজি আমি তাহার চরন,
আসার প্রতিক্ষায় ; আমার
মনের দেহ কুঁড়েঘর।
দক্ষীণা বায়ুতে আঁচল উড়াই,
উড়ন্ত পতাকার নিশাণা জানাই।
আমি আছি বসে,
তোমার লাগিয়া শত জনম পর।
দেহ ও মনের কুঁড়ের ঘরে,
তোমার বসত ঘর।
শত জনম পর আসিবে ফিরে,
তবু থাকি পথ চেয়ে চেয়ে।
মনের ফটক রাখিয়া খোলা,
আঁশায় বাঁধি ঘর; সে কি?
কল্পনাতে বাস করি?
নাকি বিন্দাবন?