নয়ন আছে, মন নেই
তবু বাস করি, এক অচেনা কোনো শহরে।
দেয়ালের পিষ্ঠে পিষ্ঠে দূঃখের কথাগুলো চাঁপা পরে আছে।
সুখ ও আছে তবে তাহা নিরব কোনো কাঁন্নার মাঝে।

বৈশাখ নেই, নেই মেঘদ্বীপ্ত আকাশ,
বৃষ্টির ছম ছম শব্দ নেই, মৃদুল বাতাসের গন্ধ নেই।
নেই চেনা পাখীদের সুর কমল ডাকাডাকি,
প্রাণের উচ্ছ্বাস নেই,মাতৃভূমির মত।

ভরা বর্যার নদীর জলরাশি নেই,
বৈঠার ছম ছম শব্দ নেই,শুণি না মাঝিদের ভাটিয়ালী গান,
পাল তোলা নৌকা নেই,কত না মধুর গান শুণি না।
রাখালের হাঁকাহাঁকি,কৃষাণের পায়ের ধূলোয় মাঠ দেখি না।
সবুজ ধানের পাতা নেই,নেই সোনালী ধানের শিষ।

কদমফুল দেখি না,বাতাসের গন্ধ শুকি না;
বালিকাদের আনাগোণা নেই,নেই পাখীদের কলতান।
বাংলায় যাহা দেখিয়াছি,তাহা খুঁজিয়া পাই না অন্য কোনো দেশে।

শিমুলফুলের নয়নাভিরাম দোলাদুলি,
দক্ষীণা বাতাসে গন্ধ ছঁড়ানো,অতীত মনে হয়।
শিমুল তলের বাঁশি বাঁজানো শুণি না,সেই অচেনা বালকের।
কি মধুর সুর?

সখি শিমুলের তলে এসো,খোঁপায় পড়াবো একটি লাল ফুল।