কাঁদছিলে এতো দিন ‘শীত কই, শীত কই?’
পড়েছে যখন জেঁকে করো কেন হৈ চৈ?
আরে ওকি? কাঁপো কেন থরথর করে ভাই?
বাঁদর টুপিতে ঢাকা ইন্দ্রলুপ্তটাই?
হাতে দেখি হাতমোজা পায়ে ভারী বুটটা
কুটকুট করে তাও খাচ্ছ কি, ভুট্টা?
সোয়েটারে ভুঁড়ি ঢাকা, গলা ঢাকা র্যাপারে
মুখটা শুকনো যেন নেই কোন ব্যাপারে।
রোসো বাপু, বোসো বাপু, বোঝাও তো সবটা
পড়েছে ঠান্ডা শুধু, পড়েনি বরফটা।
তার চে বরং খাও কফি টফি জাঁকিয়ে
বড়ি ও পালং শাক খাও মোচ পাকিয়ে।
সকালে ডোবাও ঠোঁট খেজুরের রসটায়,
বোসো রোদে পিঠ দিয়ে ঠিক বেলা দশটায়।
পুলি ও পায়েস খাও, খাও পাটিসাপটা
জ্বালালে আগুন কেউ সেঁকে নিও তাপটা।
শব্দ জব্দ করো আনন্দবাজারে
তেল মেখে করো চান যেন মহারাজা রে।
দু একটা পিকনিক সেরে এসো ফুট ফাট
নদী পারে, জঙ্গলে, নয়তো পাড়ার মাঠ?
ঠান্ডার মজা নাও, কোর নাকো শঙ্কা
কদিন বই তো নয়। পরে লবডঙ্কা।