. কোন এক স্বপ্নসার মায়াবী উপত্যকা জুড়ে,
স্নিগ্ধ সবুজ রঙা আঙ্গুরের ক্ষেত ছেয়ে থাকে।
না ভোলা স্মৃতির মত আঁকাবাঁকা পথ মহাজাল
বিভাজিত করে চলে সেই ক্ষেত, সেই পটভূমি।
কোন এক সাধারন ছাপোষা মানুষ,
কি করে কি ভাবে জানি, হয়ে ওঠে প্রায় ঈশ্বর,
হয়ে ওঠে দুরন্ত দুর্মদ, আচমকা একেবারে।
তুমুল ঘোড়ার পিঠে দাপিয়ে বেড়ায় চারি দিক।
অশ্ব খুরের শব্দ ছড়ায় পৌরুষ তার
একছত্র অধিপতি, প্রতিদ্বন্দ্বী নেই কেউ আর।
আনাচে কানাচে যত অশক্ত মানুষ
হিংসেতে জ্বলে পুড়ে মরে।
উচ্ছল কামিনী দল, জর্জর কামনায়
তাকে পাবে বলে, ছোঁবে বলে।
দুরন্ত অশ্বের খুর হেঁকে হেঁকে যায়
মালিকই সর্বশ্রেষ্ঠ, মানো হে সকলে।
ভোজনের গন্ধ আসে, ঝলসানো
কাঠের আগুনে নরম মাংসের স্বাদ করে লালায়িত।
পেয়ালায় ভরা দ্রাক্ষাসব।
রঙ্গিন যৌবন।
এবং স্বপ্নের শেষে,
উপেক্ষিত যৌবন
উবু হয়ে বসে থাকে,
দু হাঁটুর ফাঁকে মুখ গুঁজে।
ফাটা কাপড়ের ফাঁকে শীত থাকে,
অস্বচ্ছ মন থাকে আর থাকে না পাওয়ার ব্যথা।
আধপেটা জীবনেতে এক শুধু বেঁচে থাকে
তিতকুটে পোড়া বিড়ির স্বাদ।
যৌবন এবং স্বপ্ন দুজনাই বড় ধোঁকাবাজ।।