সিস্টেমে বড় বেশী পেরেম ঢুকে সব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে, কেউ বোঝে না সব শুধু কেমিকাল লোচা। যত কপচাবি তত ঝাড় খাবি। নিজেকে কেষ্ট মনে করে ময়ুর পেখম বেঁধে নেত্য করার শখ হওয়া অব্দি ভাল, সত্যি সত্যি করতে গেলে পেঁদিয়ে বেন্দাবন দেখানোর সম্ভাবনাটাই বেশী। তবু তাতে যদি টশন জাগে তো জাগাও না বাপু, সে কাটলেও তোমার আর ফাটলেও তোমার, মোদ্দা কথা হোল সবই হরমোন, মন-টন কিস্যু নেই শুধু হরমোন।
মন কি বোঝে খেরোর খাতা, হিসেব নিকেশ দশ আনা,
মন মেতেছে মনের খোঁজে পিরীতে অন্ধ ভাবে কানা।
প্রেম সুধাতে এ মন মাতাল আবোল তাবোল করছে তাই,
ভাবের রসে ডুব দিয়েছে বাঁচার কোনই ইচ্ছে নাই।
ভাব সাব বাপু অল্প সল্পই ভাল, বেশী হলেই কোত্থেকে সব ভিলেন এসে জোটে। লোলিতা… আঁউ…, ভাবের ঘরে সিঁধ কেটে মধু খেতে কত ভোমরাই যে উতলা হয়ে ওঠে তার খোঁজ কে রাখে। শালা যাকে মনে করবে বেস্ট ফেরেন্ড সেই সবার আগে লেঙ্গিটা মারবে বলে দিলুম। তাই বলি একটু চমকে রাখ বাপ, নিজেরটা নিজেকেই বুঝতে হয়, না হলে গব্বরেরা হাতও কাটবে বাসন্তিকেও নাচাবে। মনের মানচিত্রে মালখোর মৌমাছি ঢুকে যাতে মৌতাত না ভাঙ্গে সেটা অন্তত দেখিস ওস্তাদ।
মৌচাকেতে মৌ জমেছে, মধুর মিঠাস দিচ্ছে টান,
মক্ষী রানী খুব শেয়ানি প্রেমের বদলা চাইছে জান।
চাও যদি জান দিতেই পারি জানের আবার দামটা কি?
প্রেমটা যেন নিখাদ থাকে, সইব না সেথায় ফাঁকি।
ফাঁক এবং ফাঁকির আজকাল খুব গাঢ় বন্ধন। চুপি চুপি বলি, নেতারা ব্যপারটা দারুণ বোঝে মাইরি। কোথায় ফাঁক আর কোনটা ফাঁকি, বোঝার আগেই সব ফক্কা। ঝাড় খেয়ে লে হালুয়া বলার আগেই যত সব মোগাম্বো খুশ হয়ে টাকে হাত বুলিয়ে ব্যাঙ্কের রাস্তা দেখে। আর আম জনতা আমের শুকনো আঁটি হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গায় আর আঙ্গুল চোষে।
গাও না যতই বিদ্রোহী সুর গাও না যতই দেশের গান
আজকে জেনো জিতবে ওরা ওদের হাতেই মোদের প্রাণ
তাই বলে কি চির দিনই কাটবে এমন আঁধার কাল
ধনুক ছিলায় তীর জুড়েছি মৃত্যুর পারে নয়া সকাল।
যাঃ শালা, সিরিয়াস হয়ে গেল যে। এর পর কি আর বকোয়াস চলে? শুধু একটা কথাই বলি, কভি কভি মেরে দিল মে, খয়াল আতা হ্যায়। (খেয়াল না পাগলামি কে জানে?)