. শাল মহুয়ার ছায়ায় ঘেরা পথে,
বিছিয়ে থাকা রোদ্দুরে আলপনা।
হিমেল হাওয়ায় উদাস গাছের পাতা,
পথের মোড়ে নাচছে ধূলোর কণা।
ফুড়ুৎ চড়াই করমচার ঐ গাছে,
চটকে নেওয়া গন্ধলেবুর পাতা।
বুকের ভেতর বইছে পাগল হাওয়া,
অস্থিরতা কিসের জানি না তা।
মিহিন মিহিন সূর্য ডোবা আলো,
পড়লে গালে রং সোনালীর ছোঁয়া।
সন্ধ্যে বেলার ঝিম মায়াবী রূপে,
অবশ মনের রূপকথা কাল শোয়া।
পুকুরপাড়ে জলফড়িঙের খেলা,
দূর আকাশে উড়ছে কত চিল।
বাতাস কানে দেয় যে কুমন্ত্রণা,
বোঝাই, তবু বিদ্রোহী এই দিল।
শহর চিরে রাস্তা সটান শুয়ে,
ওই দুরেতে হারিয়ে যাবে বলে।
কোথাও সোজা কোথাও আঁকাবাঁকা,
চলার মজায় চলছি সাকিন ভুলে।
স্মৃতির নেশায় বুঁদ হয়ে দিন কাটে,
ইঁট কাঠের এই জঙ্গলে দিন কাল।
সবুজ দেশটা বাঁচাই বুকের মাঝে,
সামলে রাখি রং সোনালীর জাল।।