. কাকভোরে গিয়েছিনু মর্নিং ওয়াকে,
চেয়ে দেখি দুই জনা পার্কের রোয়াকে।
আবছা আলোতে মুখ চেনা বড় কষ্ট,
মাফলার, চুল দাড়ি, যেন অস্পষ্ট।
থাক না আমার কি, যাই বুক উঁচিয়ে
দুই জনে পিছু ধরে দূরত্ব ঘুচিয়ে।
মনে ভাবি চোর, ডাকু? আমাদের পাড়াতে?
এই বুঝি ভোর হল, বলি ভয় তাড়াতে।
হঠাত পেছন থেকে ডাকে মিহি আওয়াজে,
“শুনছেন ও বড়দাদা খুবই দরকারে যে”।
ভাবি মনে দূর ছাই কত কি যে ভাবলাম,
বিপদে পড়েছে এরা, ফিরে কাছে ডাকলাম।
মুখ গুলো ঝাপসানো, চোখ যেন ধুঁয়াশা
ভাবলুম চশমাতে লেগেছে রে কুয়াশা!
বল ভাই কিবা চাই ঝেড়ে কাসো ভায়ারা,
কনকনে মিহি সুরে বলে “চাই সাহারা,
বেঘর হয়েছি মোরা আছি বড় বিপদে,
সাহায্য পাই যদি পেন্নাম শ্রীপদে”।
ভাবি একি উৎপাত হল সাত সকালে,
আজকের হাঁটা বুঝি ছিলো নাতো কপালে।
তাড়াতাড়ি ছাড়া পাব, তাই বলি আচ্ছা,
ঘরটা কেমন চাই বলে ফেল সাচ্চা।
“ঘর চাই সুনসান, নিরিবিলি দরকার
যত লোক কম হবে ততই চমৎকার।
ভাঙ্গাচোরা হলে ভালো, স্যাঁতস্যাঁতে বেশ তো,
ভাড়া নিয়ে ভেব নাকো আছে খুব রেস্ত।
মানুষ দুয়েকখানা থাকে যেন নাগালে,
নইলে খাদ্য কিছু জুটবে না কপালে।
ভাবি মনে একি শুনি, ভয়ে বুক ঠান্ডা
মুখে বলি বুঝিনি তো তোমাদের ফান্ডা।
আগে ছিলে কোথা ভায়া বলবে কি দুজনে?
“কেন? ওই বেলগাছ, শ্মশানের পিছনে।
রবিবার ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে দুই টুকরো,
বেঘর ঘুরছি পথে সোম থেকে শুক্র”
এই শুনে থরথর কাঁপে মোর কলজে,
হঠাত পেছনে শুনি লোক বুঝি চলছে,
চোখের সামনে ফের অদ্ভুত দৃশ্য,
এই ছিল এই নেই এরা অদৃশ্য।
জ্ঞান এল তার পরে আপনার ঘরেতে,
হাঁটতে যাই না আর তেনাদের ডরেতে।
তোমরাও করো নাকো কাকভোরে ওয়াকিং,
বেঘোরে প্রাণটা যাবে দিলুম ওয়ার্নিং।