. আসতেছে মা উমা ঘরে,
চতুর্দিকে খুশীর মেজাজ।
খুশীর সাথে করলে আড়ি,
বৃদ্ধাশ্রমের এই বাড়ি আজ।
বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ সব,
কাটছে জীবন সন্ধ্যা দুখে।
খুঁজছে সুখের নুড়ি পাথর,
গোপন ব্যথা জড়িয়ে বুকে।
ব্যথা আবার যেই সেই নয়,
আপনজনের দেওয়া আঘাত।
নিজের বুকের কলজেখানা,
গেছে যেন সেও ছেড়ে সাথ।
ক্ষুদ্র নিজের সুখের খোঁজে,
বুড়ো বুড়ি করলি বিদায়।
সন্তান হেন জনম দিয়ে,
লজ্জাতে গর্দান ঝুঁকে যায়।
মরার জন্যে গেলি ছেড়ে,
মাস কাবারী খবর টবর।
মরলে পরে স্বস্তি বড়,
শ্রাদ্ধ হবে বিশাল বহর।
দুখের সলিল বইছে বুকে,
বইছে চোখে শুষ্ক ধারা।
এরি মাঝে দুর্গা পুজো,
হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমের পাড়া।
মহালয়ার গানের সাথে,
স্মৃতির আগুন হয় লেলিহান।
ছোট্ট নাতির হাতটি ধরে,
দেখবে ঠাকুর, কাঁদছে পরান।
কাজের লোকের সাথেই কেনা,
একটা নয়া কাপড় আসে।
পরলে পর, ফেললে ফেলো,
গেল বয়ে যদি নয়ন ভাসে।
বিজয়াতে প্রণাম করা,
ব্যস্ত ছেলে ভুললো রীতি।
আশীর্বাদ তো তবু পেল,
হা-হুতাশে নেইকো ক্ষতি।
তাই তো এবার উমার কাছে,
বৃদ্ধাশ্রমে সবার আশা।
আপন হাতে মুক্তি দে মা,
সুখের মরণ, বেদন নাশা।।