. পালক পালক রোদের ছোঁয়ায় রাঙা,
এক কিশোরী বাস স্টপেরই ধারে।
আকুল বিকুল চপল চোখের মায়া,
দেয় ছড়িয়ে বাস স্টপেরই ধারে।
একটি কিশোর, তীব্র হৃদয়গতি,
ঘোর লেগেছে বাস স্টপেরই ধারে।
এদিক ওদিক সেদিক নয়ন ছোটে,
খুঁজছে কারে বাস স্টপেরই ধারে।
দুচোখ মেলে ঝিলিক মারা চোখে,
নীরব কথা বাস স্টপেরই ধারে।
দুজন যাবে দুদিক পানে রোজই,
নিত্য মেলে বাস স্টপেরই ধারে।
ইচ্ছে করেই স্নিগ্ধ রূপের ছটা,
মিস করে বাস, বাস স্টপেরই ধারে।
এত ভিড়েও মধুর নীরবতা,
বিরাজ করে বাস স্টপেরই ধারে।
এক বিকেলে কিশোর ছেলে ভাবে,
দেবেই গোলাপ বাস স্টপেরই ধারে।
মহড়া চলে, কতই সাজা গোজা,
গোলাপ হাতে বাস স্টপেরই ধারে।
বিকেল গেল সন্ধ্যে গেল বয়ে,
দাঁড়িয়ে একা বাস স্টপেরই ধারে।
সেদিন এবং আর তো কোন দিনই,
এলোনা সে বাস স্টপেরই ধারে।
ভগ্ন হৃদয় দুচোখ হেথা হোথা,
বেড়ায় খুঁজে বাস স্টপেরই ধারে।
ফোটার আগেই ছিঁড়ল ফুলের কলি,
প্রেম হোল না বাস স্টপেরই ধারে।
আমায় আবার শুধিয়ো নাকো কেন,
এমন হোল বাস স্টপেরই ধারে।
কেমন করে বলবো বলো আমি,
ছিলেম না তো বাস স্টপেরই ধারে!
নিত্য দিনই মনের বিকিকিনি,
চলতে থাকে বাস স্টপেরই ধারে।
বাস স্টপটা দাঁড়িয়ে সটান একা,
যতই কান্ড বাস স্টপেরই ধারে।