এক বিকেলে আকাশ ছোঁব বলে,
দাঁড়িয়েছিলেম চিলে কোঠার ছাতে।
ঝিনুক ঝিনুক ভাবনা কতই এসে,
ঘিরলো আমায় চিলে কোঠার ছাতে।
শেষ বিকেলে পাড়ার খেলার মাঠে,
ঝোড়ো হাওয়া খেলছে অহরহ।
আগুন রঙা ওড়না ওড়া ঝড়ে,
লজ্জা গুলোও কেমন কুন্ঠা বহ।
পথভোলা এক টুকরো রোদের ছানা,
ঘুরতেছিলো গোলাপ বাগানেতে।
কার ছোঁয়াতে স্ফটিক হয়ে সে তো,
পড়ল বাঁধা কার সে আঙ্গুলেতে।
পাড়ার শেষে জীর্ণ কাঠের সাঁকো,
মচমচিয়ে জানায় বুকের ব্যথা।
সাঁকোর পরে পদ্ম ফুলের মায়া,
হাতছানি দেয় শালুক ফুলের পাতা।
শাল মহুলের পাগল পাগল হাওয়া,
করতে বলে কেবল পরকীয়া।
দূর সুদূরে তেঁতুল তলার মোড়ে,
কিশোর মনের চলছে দেয়া নেয়া।
বয়েস কানে ফিসফিসিয়ে বলে,
অনেক হোল ভাববে এসব কত।
কালবোশেখির পাগল পনা ছেড়ে,
যাও কর গে ধম্ম কম্ম ব্রত।
বন্ধুরা সব রাগ করেছে জানি,
বলছে শুধু আয় না মোদের দলে।
কেমন করে ওদের বোঝাই বল,
মনটা আমার নিজের মনেই চলে।
ঝিনুক ঝিনুক ভাবনাগুলো যত,
যায় ছুঁয়ে যায় চিলে কোঠার ছাতে।
এক বিকেলে আকাশ ছোঁব বলে,
দাঁড়িয়েছিলেম চিলে কোঠার ছাতে।