আসর থেকে বেড়িয়ে সেদিন,
আসছি ফিরে বাসা।
তৃপ্তিতে মন উড়ু উড়ু,
কাব্য পড়ে খাসা।
আসছি নেমে পাহাড় বেয়ে,
সিঁড়ির অনেক ধাপ।
নামছি কখন আস্তে ধীরে,
কখনো দেই লাফ।
চতুর্দিকে বন মনসার,
ফুল ফুটেছে ভারী।
তন্বীকায়া ঝর্না চপল,
ছুটছে তাড়াতাড়ি।
শিয়াকুলের ঝোপের পাশে,
নাম না জানা গাছ।
পাতার ফাঁকে লতার বাঁকে,
রঙিন পাখির নাচ।
পথের মোড়ে হঠাত করে,
অবাক হলুম বড়।
দাঁড়িয়ে আছে এক কবিতা,
একটু জড়সড়।
শুধাই তারে আসর ছেড়ে,
দাঁড়িয়ে কেন হেথা।
মলিন হেসে বললে, ভালো
আর লাগে না সেথা।
নতুন নতুন বেশভূষাতে,
নিত্য নতুন সাজে।
যাই প্রতিদিন মিলতে কতই,
গুণী কবির মাঝে।
হয় না দেখা বড্ড ভিড়ে,
কতই কবির সনে।
আসার আগেই যাই হারিয়ে,
পদ্যমেলার বনে।
বোঝাই তারে মিষ্টি করে,
মোর কবিতা রানী।
সত্যি যদি ছন্দে রূপে,
ভাবেতে হও ধনী।
মাথায় তুলে রাখবে সবাই,
নেবেই তোমায় খুঁজে।
উচ্ছসিত প্রশংসাতে,
চমকে যাবে নিজে।
যাও গো ফিরে আসরেতে,
মান কোরো না বৃথা।
শুধরে নিলে আপনারে,
ভাববে না এই কথা।
এই না বলে আপন মনে,
চলি ঘরের পানে।
বেঁচে থাকুক আসর মোদের,
বাড়ুক গুন ও মানে।