. দুখ পাখিটা ঠুকরে বেড়ায় সুখের পাখি,
বন্ধ হাতের খুললে মুঠো বেজায় ফাঁকি,
রহস্যটা থাক না ঢাকা রহস্যতেই,
ফাঁস হলে যে থাকবে না আর কিছুই বাকি।
নিত্য নতুন অট্টালিকা, খেলার মাঠে,
দেয়াল কাঠের বি এচ কে তে জীবন কাটে,
জিম পুলের ঐ গোলকধাঁধার চমক দমক,
প্রোমোটারি যায় ছেয়ে যায় বাজার হাটে।
ঝিলের জলে লাশের সাঁতার নিত্য দিনই,
কেউ তো ধূসর, কাউকে আবার ভীষণ চিনি,
প্রাতঃভ্রমণ, ছটফটানো মুখ ফিরিয়ে,
চায়ের সাথে থিন এরারুট বগৈর চিনি।
সন্ধ্যে আসে গুলের ধুঁয়োয় ঝাপসা মনে,
চোখ চলে যায় ঝিলিক দেওয়া বিজ্ঞাপনে,
অর্ধবসন হোরডিংয়েতে, হাতছানি দেয়,
শির ঝুঁকিয়ে যাই চলে, দুই কুঠরী পানে।
গাড়ির ধুঁয়ো, সীসা পারদ রাত পোয়াতী,
বাতাস ভারী, অনিদ্রা বাত রোজের সাথী,
নিত্য সকাল প্রসব করে রোগের ছানা,
ভরছে দেশে রুগ্ন প্রাণা এক প্রজাতি।
এমনি করেই ক্ষইয়ে আয়ু দিন যায় প্রাণ,
বন্ধ মুঠো খুলতে গিয়েও বন্ধ সটান,
রহস্যটা ভীষণ কঠিন সামলে রাখা,
সুখপাখিটার খুঁজতে হদিশ জান পরেশান।