. দুপুর বেলায় লেবু তলায়, আনতে গেছি পাতা।
করবে গিন্নী ছাই ভস্ম, এক্কেবারে যা তা।
ভীষণ রোদে চৌদিকেতে, জন মানব নাই।
গিন্নী বড় খামখেয়ালী, দুষছি তাকে তাই।
লেবু পাতা তুলতে গিয়ে, লম্ফ ঝম্ফ পুরো।
হঠাত করে সামনে এল, এক সে দেঁতো বুড়ো।
দাঁতের ফাঁকে মুচকি হাসি, করলে নমস্কার।
শুধোই তারে, নামখানা কি, হেথায় কি ব্যাপার?
“নামটি আমার সীতানাথ, পদবীটা বন্দ্যো,
নেশা আমার আকাশ চাখা,রেখো নাকো সন্দ।”
ফাজিল বুড়ো!! করছে মজা সুকুমারকে নিয়ে?
চড়াত করে মাথা গরম, নেই তবু সামলিয়ে।
মিষ্টি মধুর হেসে বলি, বয়স কত হল?
“সঠিক বড় কঠিন বলা, গুনছে কে আর বলো।
থাকি আমি কঙ্কালপুর, নয় তো বড় কাছে,
নব খুড়োর সঙ্গে থাকি, একই বেলের গাছে।
আরিব্বাস! এ ক্ষ্যপা বুড়োর রুচি কবিতায়!
আমারই কবিতা পড়ে, আমারে ডরায়??
বলি তবে সুকুমারের গল্প না হয় বলো,
“কি বলি আর বয়স আমার তখন হবে ষোল।
পড়াশুনো, খেলাধুলো, আরেক ছিল বাই,
জিভ উঁচিয়ে যখন তখন আকাশ চেটে যাই।
হঠাত দেখা সুকুমারের, প্রশ্ন করল কতো,
কখন আকাশ কেমন থাকে জানল, জানি যতো।
কিন্তু বড় দুঃখ পেলাম, পড়ে ওনার ছড়া,
টক মিষ্টি ছাড়াও আকাশ, কতই স্বাদে ভরা।
ঝাল,নোনতা, পানসে জোলো বলব কত আর,
এই কথাটাই কইব বলে, এলাম তোমার দ্বার”।
বক্র হাসি হেসে বলি, ঢপটা দারুন দাদু।
অনেক হল এবার তুমি, কেটেই পড় চাঁদু।
যাবার আগে এক বারটি, গলায় মিলে যাও।
ভয় পাইনা কাউকে, যতই দিব্যি তুমি খাও।
এই না বলে যেইনা আমি, করছি কোলাকুলি।
বুড়োর দেহের ভিতর দিয়ে, সটান গেলাম চলি।
পেছন দিকে তাকিয়ে দেখি, একাই আমি হায়।
জ্ঞান ফিরলো অনেক পরে, ঠান্ডা জলের ঘায়।