. ছোট্ট বেলার স্মৃতির ঝুড়ি হাতড়ে দেখা।
গুল্ম লতা যায় রাঙ্গিয়ে রঙ্গীন পোকা।
নাঙ্গা পায়ে লাল কাঁকরে দৌড়ে বেড়াই,
বালির স্তুপে বানায় গুহা দুষ্টু খোকা।
দিদির খেলায় রাজা রানীর রূপ কথাটি।
নুড়ি পাথর, কাঁঠাল পাতার রান্না বাটি।
জল-কুমীরে সকল মিলে মাতল খেলায়,
গোল্লা ছুট এ হাত শিকলের হুটোপুটি।
ভর বিকেলে ধানের ক্ষেতে মৎস্য শিকার।
কচুপাতায় কেঁচোর পাহাড় নেইকো বিকার।
ছিপের খেলা পুঁটি মাছের আশায় আশায়,
ফিরলে ঘরে পড়বে পিঠে মায়ের প্রহার।
সন্ধ্যেবেলা স্কুলের পড়ার দাঁতখিচুনি।
লম্ফ জ্বেলে মাদুর পেতে নামতা গুনি।
প্রানান্তকর দাদার হাতে কানের মলা,
পড়ার ফাঁকে অলীক মায়ার স্বপ্ন বুনি।
রাত্তিরেতে ছমছমে গা আঁধার নিকষ।
লন্ঠনেতে পড়ছে কালি, মনটা বিবশ।
গাছগুলো নেয় অদ্ভুতুড়ে ভুতের আকার,
ক্লান্ত দেহে ছড়ায় কখন ঘুমের পরশ।
ইচ্ছে করে একছুটে যাই সেই জগতে।
বেহিসাবি কিশোর বেলার আবছা রাতে।
দিক প্রকৃতির পবিত্রতায় মন ভেজানো,
ফিরবে না আর কর্ম বহুল জীবনটাতে।