গত কয়েকদিন যাবত, মনটা একটু বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে, আমাদের প্রিয় আসরে প্রকাশিত একটি কবিতার শব্দাবলী নিয়ে। যেখানে কিছু শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যা আমার মতে মোটেই সমীচীন হয় নি। আমি কবিতায় শ্লীলতা বা অশ্লীলতার প্রশ্নে যাচ্ছি না, কারন সাহিত্যের বা কাব্যের ক্ষেত্রে তার সংজ্ঞা খুবই রিলেটিভ। কারন কখনো হয়ত অবস্থার প্রেক্ষিতে ব্যবহৃত নির্দোষ শালা শব্দটি অশ্লীল লাগে এবং কখনো একদম চার আখরী শব্দও মানিয়ে যায়।
আমার প্রশ্ন শালীনতা নিয়ে। আমাদের আসরে আমাদের অনেক প্রিয় বোন, দিদি বা বৌদিরা আছেন যারা নিয়মিত কাব্য চর্চা করেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁদের অনেকের কবিতা খুবই পছন্দ করি এবং নিয়মিত পড়ে থাকি। তাই মনে হল, যে আসরে এমন কবিতা প্রকাশ করে এবং সেটা ঠিক প্রমান করতে গিয়ে আরো ততোধিক অশ্লীল শব্দাবলী প্রয়োগে রচিত কবিতার উদাহরণ দিয়ে, আমরা কি পরোক্ষভাবে তাঁদের একটি বার্তা দিচ্ছি না যে, শালীনতার সীমানায় থেকে যারা কাব্যচর্চা করতে চান, এই আসর তাঁদের জন্য আর নয়। একই সঙ্গে আমার মনে হয় কবিতাটি পড়ে মহিলা কবিরা ছাড়াও আরো অনেকের মনেই বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
যৌনতা কিন্তু কখনই অসুন্দর নয়, বিশেষ করে সৃষ্টিধর্মী যৌনতা সাহিত্য বা কাব্যের অপরিহার্য অঙ্গ। কিন্ত তার মাঝে যখন বিকৃতির আভাষ মিশে যায়, তা আর তখন পরিবেশনযোগ্য থাকে না। কিম্বা হয়ত থাকে কিন্তু সকলের পক্ষে পরিপাকযোগ্য থাকে না।
আমার মনে হয় সবাই আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করবেন যে আজকাল আসর আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে পড়েছে, এবং আসরের কবিরা আমাদের বৃহত্তর পরিবারের অদেখা সদস্য। কাজেই আমি উল্লিখিত কবিতাটির রচয়িতা কবি ও ওনার উল্লিখিত আরেক কবির প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আসরের সব কবিবন্ধুদের অনুরোধ করছি, পারিবারিক ফোরাম হিসাবে নিয়ে আসরের রুচিশীলতা বজায় রাখার জন্য।
মাননীয় এডমিন মহাশয়কে অনুরোধ করবো এ ব্যপারে একটু দৃষ্টিপাত করতে, কিম্বা আসরের ভিতরেই একটি আলাদা বিভাগ খুলতে, যেখানে আলাদা ভাবে লগইন করে প্রবেশ করা যায় এবং যেখানে এরকম অন্য ধারার কবিতা প্রকাশ করা যায়। অন্তত পক্ষে যারা লগইন করবেন তাঁদের মানসিক প্রত্যাশা কিন্তু সেরকমই থাকবে। অযথা শক লাগবে না।