ও পাড়ার নন্দ খুড়ো খায় পান মধ্য রাতে
বয়সে হদ্দ বুড়ো, তবু রোজ যায় বেড়াতে।
চুলে তার পাক ধরেনি হাসলেই বত্রিশ পাটি
গরমে ঘুমোয় লেপে শীতে চাই শীতল পাটি।
দুপুরে কুকুর হাতে যান তিনি হন্টনে হে,
এলে ফিরে কুকুর কাহিল খুড়ো দেখ টনটনে হে।
ভোজনেও বলব কি আর। দু বেলা তেমন আহার,
ক’ জনায় করতে পারে ভুরিভোজে এমন বাহার।
দ্বিপ্রহর রাত্রি ভোজে শুদ্ধ তিনি শাকাহারী,
সকালে দু সের পাঁঠা, সাঁঝে মাছ ও ডিম্ব-কারি।
জোছনায় মুগুর ভাঁজেন, আঁধারে ভাঁজেন লাঠি
কালোয়াতি করলে শুরু, বাকি দের দাঁত কপাটি।
হলে শুরু শেষ হবে না, খুড়োর যত গুণের কথা
খুলে কান চুপটি করে শোন তবে আসল ব্যথা।
ও পাড়ার নন্দ খুড়ো এভাবেই চান কাটাতে
যে কদিন গিন্নী ওনার গিয়ে র’ন কোলকাতাতে।
বাকি দিন চাদর মুড়ি, হাতে লাঠি বক্র খাঁচা
কোবরেজি পাঁচন গিলে টেনে টুনে কষ্টে বাঁচা।
খুড়োর আর দোষ কি বল, গিন্নীটি রাশভারী না?
একা খুড়ো বাচ্চা বাঘের, খুড়ি এলে বেড়াল ছানা
ও পাড়ার নন্দ খুড়ো, মোটে নন মন্দ খুড়ো
খুড়িকেই ডরান কেন ওখানেই ধন্দ পুরো!