লাল কাঁকুড়ে পথ কি থেমে থাকে? চলতে গিয়ে
করতো বাড়াবাড়ি
শালের ফুলে উড়ান দেয়ার নেশা,
বিদায় নেবে, সবার সাথে আড়ি
সে সব দিনে রাত ছিল না মোটে, সকাল দুপুর সন্ধেটা পার হলে
রাতের নামে স্বপ্নরা অক্লেশে, আসতো যেত,
গল্প যেত বলে
এমন ধারা গল্প ছিল কত, কাল বোশেখি ভগ্ন গাছের শাখা
কুকুরভেজা বিকেল জুড়ে কাদা, বৃষ্টি মাখা খেলার মাঠও ফাঁকা
রোদ দুপুরে চন্দনেরই বীজ
কুড়িয়ে নেওয়া, আঁধার আঁধার কুঁয়ো
তার ভেতরে গল্প অপঘাতের, তার ভেতরে
তুমুল ভয়ের ধুঁয়ো
একলা হলে
শিউরে ওঠে গাটা, এদিক ওদিক চোখ ফেরানো মানা
গল্প ভাসে বকুল ফুলের ঘ্রাণে, গল্প তখন
প্রায় মেলেছে ডানা।
গল্পে তখন গল্প পড়ার নেশা, অরন্যদেব,
তুফান এবং রাজা
দত্যি দানো, গল্প ঝুড়ি ঝুড়ি, দুপুর রোদ
আর একলা ইঁটের পাঁজা।
তারপরেতে গল্প গেল ঘুরে,
এক বিকেলে এক কিশোরীর চোখে
পড়তেই চোখ বদলে গেল সবই, চোখের তিলে
নজর রাখার ঝোঁকে।
পরীর ছোঁয়া, অবাক জাদুকাঠি,
বদলে গেল লাল কাঁকুড়ে দেশ
এবার শুরু বড় হওয়ার পালা, মন খারাপি
বাঁধলো বাসা বেশ
তুমুল রঙিন তুমুল স্বপ্ন মেশা, দিন গুলো সব
তাও তো সাদা কালো
অবাক সে সব লাল কাঁকুড়ে পথে,
কষ্ট ছিল ছিল আপন, ভালো।