বহুদিন হয়ে গেল, প্রবল ধারের সেই
রোদ চোর বৃষ্টি দেখি না
যেই সব দিন জুড়ে বে-সূরজ,
বে-পনাহ ল্যাদ
আঁধার আঁধার ভোর, স্যাঁতস্যাঁতে খিচুড়ি দুপুর।
জল থৈ অলি গলি,
দাদুরীর হাঁকও মেকি না।
কই সেই বৃষ্টি দেখি না...
কান ঝাপটানো গরু, পিছলিয়ে পড়া
জল সাজ
পাতায় পাতায় ঝরা
সবুজের পেলব কোলাজ।
বুকেতে বৃষ্টি নিয়ে ল্যাতপ্যাতে কাগজের নাও,
জল চোঁয়া ছাদ জুড়ে
গড়ে ওঠা অবয়ব তাও
ভালো লাগা, কার্নিশে আনমনা টুপটুপে সাঁঝ
হ্যারিকেন আলো মেখে
ভেসে আসা পোকার আওয়াজ।
রাতভর ঝরঝর, শেষরাতে
থেমে যাওয়া ভোর
ভিজে মন ভেজা কোন, ওম মাখা মায়ের আদর
সোঁদা সোঁদা বাসে ভরা সিনা
বহুদিন হয়ে গেল
কই সেই বৃষ্টি দেখি না।
করমচা লাল সাদা বাঁশ পাতা চিকন চিকন
ভেজা শালিকের ডানা ছুঁয়ে আসে গোধূলি কখন
শুকনো টুকরো মাটি খোঁজে নেড়ি কুকুরের ছা
মনেও বর্ষা,
হাতে ধুম ধুম ধূমায়িত চা।
শেষ হয়ে হয় নাতো, শেষের পরেও কিছু বাকি
আকাশি দুঃখ বুকে, ঝরা জলে
দেয়া সোজা ফাঁকি।
উল্টো মুঠোয় মোছা দুই চোখে বহুদিন
কবিতা লিখি না
পড়ে পাওয়া সাল গেল বর্ষার কাল গেল
কই সেই বৃষ্টি দেখি না।