ব্যার্থতার দিনগুলি
মাটিতে গা ঘষ্টে ঘষ্টে আঠাশে পা দিল
এখনোও ঘুমের মধ্যে আমি বহুবার জেগে উঠি,
খালি পায়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়,
নিয়নের আলোয় পাতা ঝরার শব্ধ শুনতে পায়
কখনও অকারণে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি,
রাতজাগা শহরে এলোমেলো পায়চারি করি
মানুষের স্পর্শ বাঁচিয়ে চলি,
বাসে উঠি, বাস থেকে নেমে যায়
আজকাল আমি নিয়মিত বাজারে যায়,
মাথা নিচু করে বাড়ি ফিরি, মা দরজা খুলে দেয়,
সংসারের ডাল ভাতে বাবার শরীরের গন্ধ নাকে আসে
আমি গোগ্রাসে গিলে খায়, কুয়োতলায় এঁঠো বাসনে কাকে মুখ দেয়
জানালার পর্দা টেনে আমি নিজের শরীরের মধ্যে ঢুকে পড়ি
খোশমেজাজে মৃত্যু নিয়ে অশরীরীদের সঙ্গে গল্প জুড়ি
এভাবেই শীতের হিমেল হাওয়ায় স্মৃতিহীন বছরগুলো কুঁকড়ে যায়
নিসঙ্গ বিছানায় বস্তাপচা জন্মদিনগুলো অযত্নে পড়ে থাকে
অথচ পুরু চশমার ফাঁক দিয়ে যখন আমি তোমাদের দেখতে থাকি,
কেমন করে যেন শান্ত জীবন আর উত্তাপহীন ভালোবাসাগুলো মূল্যবান হয়ে ওঠে
আমার বড্ড বাঁচতে ইচ্ছে করে,মনে পড়ে বাবা একদিন পাহাড়ে যেতে চেয়েছিলে !