গণগনে আঁচে দেহটাকে এ পিঠ ও পিঠ ভেজে নিই
পাত পেড়ে বসে সাতটা পেট রোজ আমাকে তৃপ্তি করে খায়
তপনদা, প্রতিদিন তোমাদের দেশি মদের আড্ডায় আমি শ্লেষ বমি করি I
শহরটা যেন নেকড়ের ক্ষুধার্থ চোখ নিয়ে আমাদের অনুসরণ করছে
ট্রেনে কাটা পড়লে ধড় থেকে আলাদা মাথাটা কতটা অসহায়ভাবে...
খুকু কে মনে পড়ে-
অথবা, গলায় দড়ি দিলে জিভটা কতটা নির্লজ্জভাবে...
ত্রিদিব কে মনে পড়ে-
তপনদা, প্রতিদিন তোমাদের দেশি মদের আড্ডায় আমি আত্মহত্যা বমি করি I
আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি পড়লে আজকাল ছিঁড়েখুঁড়ে যায় অবসর
কে কবে কিভাবে বৃষ্টিকে ভালোবেসেছিলো,
মনে পড়ে যায় ফেলে আসা ছাতাটাকে কোনো বাস স্টপে
তপনদা, প্রতিদিন তোমাদের দেশি মদের আড্ডায় আমি রোমান্টিসিজম বমি করি I
একটা মরবিড অথচ সারগর্ভ জীবন যেন গিলে খাচ্ছে আমাদের
নিজের লাশ দাহ করে বাড়ি ফিরছে মানুষ,
যারা বেঁচে আছে, কিংবা
যাদের বেঁচে থাকাটা একটা শরীর বয়ে নিয়ে চলা মাত্র,
চোরের মতো তাদের পিছু নেয় হেজে যাওয়া দায়দায়িত্ব
তপনদা, প্রতিদিন তোমাদের দেশি মদের আড্ডায় আমি নৈরাজ্যটা বমি করি I
যুক্তিতক্কের ধার ধারে না যা সব,
যা কিছু রয়ে গেছে, ক্ষয়ে গেছে বা বয়ে গেছে,
সে সব নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় আমাদের
তপনদা, প্রতিদিন দেশি মদের আড্ডায়,
আমরা শুন্যতা ও বোধহীন জীবনযাপন বমি করি I