'অ-তে অজগর । অজগর আসছে তেড়ে ।'
রাতে নৈমিত্তিক পাঠ পরিসমাপ্তির ঢেঁকুর উঠে শিশুদের কণ্ঠে ;
তাদের শীতল নিঃশ্বাসগুলো স্তব্ধ অন্ধকার
ভাসিয়ে নিচ্ছে দূরে কোথাও ।
সোমালিয়ার মৃত্যুপল্লী মজানদীর মত শান্ত এখন ।
কখনো কখনো অজগর তেড়ে আসে না ,
নিঃশব্দ চলাচল তার । কেবল ক্ষুধা
নদীর স্রোতের মত তাকে তাড়া করলে
অজগর ঘোরে বন থেকে বনান্তর ।
ধাবমান বাতাস অরণ্যে জমা করে নিবিড় অবেগ,
মূষিকের দোয়াশ গন্ধ আর খরগোসের চঞ্চলতায়
বনের শুকনো পাতাদের বেহাল দশা ।
ঝর্ণারজলে হরিণ শাবক,
তার জলপানের শব্দ সঙ্গীতের মত বাজে
নিসর্গের ভাঁজে ভাঁজে ।
তখন আলস্যের ঘু্ম ভেঙ্গে অজগরের জেগে উঠার কথা ;
কিন্তু অজগর ছিল নিদ্রিত ।
অ-তে অশরীরি। ক্ষুধা অশরীরি দানব ।
কুকুরের লেজের মত শিশুরা গুটিয়ে আছে ,
মায়ের নিরাপদ কোলে ক্ষুধার ছোবল। তারপর
হাইতির উপতক্যা পার হয়ে তার লকলকে জিব
ইথিওপিয়ার জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করে ।
মানুষের প্রথম দাবী খাদ্য, তারা দেশও চাই ।
হায় ফিলিস্তিন ! শকুনের নখের নিচে তোমাদের মানচিত্র ।
তোমাদের শিশুদের রক্তে প্লাবিত হল ভুমধ্যসাগর
তোমাদের বারুদ নেই , তোমাদের ভাই নেই,
তোমাদের বন্ধুরা কোথায় ?
রাত গভীর হলে অট্টহাসিতে ইহুদীরা
মদের টেবিলে উল্টে দেয় রামের বোতল ।
তখন নিদ্রাভঙ্গের মনোবেদনা অজগরের মনে ।
ফলে অজগর তেড়ে আসতে থাকে ।