বৌদ্ধ মন্দির সড়ক ধরে যদি আসেন
পেয়ে যাবেন গোলদিঘি।
যেখানে জল-কাদায় মানুষের দুঃখ
কচুরিপানা হয়ে যায়।
পূর্বদিকে পাহাড়। কারুময় অজ্ঞমেধা ক্যাং ।
বৌদ্ধদের মন্দিরবেষ্টিত নিসর্গের ভাঁজে ভাঁজে,
একদা আমি রেখে এসেছিলাম আমার শৈশব,
সাপ আর শেয়াল তাড়ানোর উত্তেজনা।
উত্তর পাড়ে অনুকুল ঠাকুর। এটি আমার
নিত্য ব্যবহার্য পথ। আশ্রমে ধোপের ধোঁয়ায়
ঢেকে যেত ঠাকুরের উদোম দেহ, আবার
বহুদূর অবধি শুনা যেত শঙ্খ-নিনাদ।
দক্ষিণে বটের নিস্তব্ধ ছায়া। মানুষের কবর।
এক টুকরো শোভন ছায়ার লোভে,
আমি বহুবার এই মৃতদের মহল্লা পার হয়ে
চলে যেতাম দূরবর্তী পাহাড়ের সানুদেশে।
পশ্চিম পাড়ে মরকজ। প্রত্যহ ভোরে শুনা যেত,
মুয়াজ্জিনের কণ্ঠের সুমিষ্ট আহবান-
'আসসালাতু খাইরুন মিনন্নার'
গোলদিঘি, তুমি আমার আত্মার তীর্থ
তুমি দীর্ঘজীবী হও।