১৬ কার্তিক,১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল।
বোনটারে খুব মনে পড়ে,
সবথেকে বেশি উঁকি মারে,
হেমন্তের শুরুতে।।
সূচনা আপু,
পদ্য নামে ডাকি তারে বোনো,
সে কি রাগ,
সাথে জড়াতো অভিমান,
কিন্তু তার স্নেহের ভালোবাসা,,
সপ্ত ধরনীর সমান।।
কতো শত গল্প,
দুপুরে ভাত ছিলো না,
একসাথে বসে একপাতে,
কতো খেয়েছি আলু সিদ্ধ।
পূর্নিমার রাতে হেমন্তের ধান কাটা মাঠে,
কতো কানামাছি,আর চোর চোর খেলা,,
আহা কতো প্রশান্তি,,
সাথে একটু আধটু ঝগড়া।।
গায়ে কাপড় নেই শীতের,
ধানের কুড়ো জড়ো করে,
আগুন লাগিয়ে শীত তাড়ানো,
আমরা বলতাম পোড় জ্বালানো।।
একসাথে কতো পাতা কুড়িয়েছি,
আমি তো পারিনা,,
কোলে নিয়েই সব কাজ করতো,,
বোনটি আমার।।
ওর যেদিন বিয়ে,,
সেদিনও আমি তার কোলে,,
কোলটা ছাড়তাম না কখনো,,
বুঝি নাই সে চলে যাবে,
আমায় ছেড়ে নতুন সংসারে।
যে সংসারে ছোট ভাইয়ের অস্তিত্ব থাকবে না,
নতুন অস্তিত্ব নিয়ে আসবে,
দেবর,ভাসুর,ননদ,
তৈরী হবে নতুন নতুন সনদ।।
তবুও ছাড়ি নাই তারে,,
কতো কান্নাকাটি,,
নতুন বাড়ি নতুন সবকিছু,,
এখন ও মনে পড়ে,,
কতোশত মার খেয়েছে বোনটি আমার,
স্বামীর, শ্বাশুড়ির,
এখন ও মারে,,
তবে স্মৃতিতে গেথে আছে,,
আমি তার কোলে,,
জাপটে ধরে আছে আমায় সে,,
আর তার পিঠে কতোশত কিল,ঘুসি।।
তবুও ছাড়ি নি তারে,,
সে ও আমায় ছাড়েনি।
আমি যে তার ছোট্ট ভাই,,
সন্তানতূল্য বা তার থেকে ও বেশি।।
সময়ের পরিক্রমায়,
চুল পেকে গেছে,
চামড়ায় পড়েছে ভাজ,,
ব্যস্ততা বেড়েছে,বেড়েছে অনেক কাজ।।
আগের মতো আর দেখা হয় না,
কথা হয়, তবুও খুব কম,
স্মৃতিগুলো তাড়া দেয়,
মনে ব্যথা টনটন।।
কোনোদিন ও বলা হয় নি,
বোনটি আমার,
অনেক বেশি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা,
তোর প্রতি।।।
আমরা তিন ভাই,,
একটি শুধু বোন,,
ছোট্ট বেলার স্মৃতিতে,
শুধু তোরই আলোড়ন।।