একদা,
ভাবনার রাজ্যে
খেলা করে বর্ণ।
অনেক বাহারি,
দুষ্টমিতে ভরা
শব্দে শব্দে,
বানাতো ছড়া।
ভাবনার রাজ্যে
নতুনত্ব,
সুনিপুণ সাজে,
কাব্যকথা,
ছুটাতো তেজি
ঘোড়া।।
শরৎ তার মৃদু হাওয়ায়,
ভাসানো সাদা কালো মেঘ,
বৃষ্টি রোদ সাথে বর্ণ
একসাথে খেলতো রংধনুতে।
দিগন্তের সীমানায়,
সবুজ মাঠে
কাঁদা মাখা মেঠো পথ,
ধানক্ষেতের ডগায়,
ঢেউ তুলে,
পূবালী বাতাস।।
এমনই দিনে,
খেলা করে বর্ণ
একদা,
লিখেছিলো মহাকাব্য।।
ছায়া করে লুকোচুরি,
বর্ণের অস্তিত্বে,
শিরশিরে বাতাস,
হানা দেয় সুচ ফুটানো ঠান্ডা।
কালো পোশাক,
চুষে নিয়ে সব তাপ,
হাড় কাপিয়ে নামে,
শীতল বৃষ্টি।।
চোখ ভেজা,
ভেজা বর্ণ
দুরে উষ্ণতার হাতছানি,,,
রংধনুর বাহারি রং,,
বহুদূরে ডাকে তারে
অস্ফুট শব্দে।
ভিজে গেছে বর্ণ,
ভেজা তার ভাবনার রাজ্যে,
খেলা করা বর্ণ
মহাকাব্য চুষে নেয় তার,
একদা,
কালো পোশাক।।
শোনা যায় গোঙানি,
অস্ফুট বর্ণে ভাঙা শব্দ,
একদা
এভাবেই অস্তমিত বর্ণ।।