পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে,
চূড়ায় বেঁধেছি ঘর:
পাহাড়ের চূড়ায় বসে বসে
খু্ঁজেছি তারি শিকড়।
কালো মেঘের উড়ন্ত টুপি দিয়ে,
ঢেকেছি তার শির;
যৌবনা তনু তার দিয়েছি ধুয়ে;
ঢেলে ঝরনার নীর।

শিশুর মতো খেলেছি লুকোচুরি
প্রভাত-গোধূলির ছলে,
পূর্ব- পশ্চিমের দিগন্তের দুয়ার,
অবলীলায় দিয়েছি খুলে;
সাগরের কিনারে ঠুকিয়েছি শির
সিঁথিতে সিঁদুর মেখে;
কুমারির লজ্জামাখা মুখ সঁপেছি,
বিশাল সমদ্র দেখে।

নদীর ধারে বসে বসে প্রত্যেহ
হারিয়েছি তার তলদেশে,
খুঁজেছি তাই হারানো ভাবনাগুলি,
তার ধারেতেই এসে।
শূন্য কদমতলা টা শূন্যতা নিয়ে,
বলছে কিছু যেন আনমনে;
কত কিছুই লুকানো  বুঝি তার,
দু-ধারের কাশ বনে।

উন্মুক্ত মাঠে হেঁটে হেঁটে খুঁজেছি
সবুজের কোলাহলে,
বিশাল নিলিমার নীলাচল ছিঁড়ে,
বিধবার ছিন্ন শাড়ীর আঁচলে।
ভাবনার এক অসীম জগতের
মহোময় এক ঘ্রাণে,
সীমানার সীমা ছাড়িয়ে হারিয়েছি
এক উলঙ্গ মস্তিষ্কের সন্ধানে।