নদীর পাড়ে বাড়ি আমার, গাই রে নদীর গান
নদীর বুকে জীবিকা আমার, নদীতেই বাঁচে প্রাণ।
ওর জলেতেই ফসল ফলে, চৈত্র মাসের খরায়
তৃষ্ণা মিটায় শীতল জলে, বুক যেন মোর জুড়ায়।
মায়া করে রেখেছে ভরে, রূপালিরা হাসে তাই
নদীর পাড়ের জেলে ওরে, বাঁচি তারি মমতায়।
ওর ছোঁয়াতেই এত উর্বর, আমার বাংলার মাটি
ফুল-ফসলে ভরেছে জবর, তাই তো মোর ভাটি।
নদী কে তাই জননীর মত, করিয়াছি রে আপন
ভালবেসে ওরই পাশে, তাই করছি জীবনযাপন।
ওর পরশের শীতল অনীল, বয়রে আমার ঘরে
বাড়ি আমার হলো বর্ণিল, ওরে স্বপ্ন নয়ন জুড়ে।
ওরে ঐ উদার নদী কেমন করে,পাষাণ হলো আজ
ওর বুকেতে ভাসিয়ে মোরে,কেন করছেরে বিলাস!
ওর শান্ত বুক কেন জানি, আজ উত্তাল হয়ে বয়
ভেঙেছে মোর হৃদয়খানি,ও যেন মোর আপন নয়,
স্বপ্ন ভরা নয়নে আমার, আজ দুখেতে অশ্রু ঝরে
কোন বিলাসে উল্লাস তার, নিঃস্ব আমায় করে।
ওরে পাষাণ! তুই কি করিস রে, আমার বুক ছিঁরে
বিলিন করে দিচ্ছিস মোরে, তোর উতলা নীরে।
কেমন করে নিচ্ছিস রে তুই, ভাসিয়ে আমার বাড়ি
ওরে পাষাণ কেন শুনিসনা তুই, আমার আহাজারি।
সুরমারে তুই ভালই ছিলে খ্যাঁপলে কোন আকালে
আমি আজ নিঃস্ব হলাম, তোর নিষ্ঠুর মায়াজালে।