জ্বলিবে কি কুপিবাতি আমার মটির ঘরে!
যখন সূর্যের আলোর মতো নিবে যাবে
নয়নের আলো নামিয়ে জীবনের সন্ধ্যা।
জানি পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র হতভাগা
মানুষের চেয়েও অসহায় হয়ে রবে
আমার ছোট্ট প্রদীপের শুকনো সলতেটা।
কি করে মিটি মিটি জ্বলিবে আলো এই ঘরে!
এই ঘর হারিয়ে যাবে নিশীথের অন্ধকারে।

কত মানব উৎসব হয়েছিলো আয়োজন
এই মৃত্তিকালয়ে জ্বালিয়ে হ্যাজাকবাতি;
কেহ কি আসিবে হেথায় করিতে সন্ধান
স্মৃতিমাখা ঐসব উৎসব আয়োজন।
নাকি বিভীষিকাময় অন্ধকারের ভয়ে
শূন্য এই ঘর আঁধারেই পড়ে রবে মহাকাল
নিস্তব্ধ রজনীর অমাবস্যার কোলে!

যদি কেহ খুঁজে আমায় অন্ধকারের গভীরে
এই দুয়ারেই রেখে গেলাম সমস্ত সম্ভার;
মিনতি করি প্রিয় যদি তোমার হৃদয়ের
মরমি অশ্রুতে জ্বলে কোনো প্রণয় প্রদীপ
সন্ধায় জ্বালিয়ে দিও আমার অন্ধকার ঘরে।
আমার অতৃপ্ত অনুরাগগুলি যেন বেঁচে থাকে
জগত আলোকের সহস্র প্রণয় প্রদীপে।