এই মাটিতেই সে গাড়েছে শিকড়,
এই মাটিরই তরে;
শাখা-প্রশাখারা তার আজ অনড়,
পত্র-পল্লবে ভরে।
এই মাটিতেই সে থাকিতে চায় ,
এই মাটির খাতিরে;
শিকড়েরা তার ভেদিয়া নিয়েছে ঠাঁই,
এই মৃত্তিকা গভীরে।
তাই সে আজ করে নাকো ভয়
ঐ কাল বৈশাখীর,
যে এসে ভাঙিবে সবুজ শ্যামলিমাময়,
তার এ শান্তিনীড়।
কে কোথায় পাবে এমন শীতল ছায়া,
বিনে এই বট মূল;
কে কবে জুড়াবে তব ক্লান্ত কায়া,
ভেবে সে আকুল।
তাই এই তরু চায় না ছিঁড়িতে শিকড়,
আঁকড়ে ধরেছে মাটি;
আজ গড়েছে সে সুখের আকর,
বিছায়ে শীতলপাটি।