আমি ওর সাথে অনেক গল্প করতাম
একই পথের পথিক কিনা!
আজকাল পথে যেতে যেতে একলা লাগে
ওর কথা ওর উজ্জ্বল মুখ ভেসে ওঠে;
আমায় মাফ করবেন আমি উৎসবে ফিরতে পারবনা।
ও আমার সাথে ইচ্ছেমতন
স্বপ্ন বিনিময় করত রাতবিরেত মানতনা।
অথই সাগরের বুকে ও ছিল আমার মুক্তমনা মুখ।
ও আর আমি চেয়েছিলাম স্বর্গ রচনা করতে।
যখন বুঝলামও নেই ভুমিকম্প টের পেয়েছিলাম।
মাফ করবেন উৎসবে আমার মন নেই, ফিরবনা।
ওর শখ ছিল ও বড় হয়ে জনগণের সেবা করবে;
কেউ কেউ বলেছিল আদার ব্যাপারী, জাহাজের খবর!
আমার মেয়ের প্রচণ্ড জেদের সাথে
আমিও প্রাণপণে ঘাম ঝরিয়ে লড়ে গিয়েছিলাম
দাঁতে দাঁত চেপে সফলতা প্রায় দরজায় এসেছিল;
কার আশীর্বাদপুষ্টদের বর্বরতায় পথেই এলো বিপদ
তারপর... একরাশ শুন্যতার অন্ধকার
আমি কি করে উৎসবে ফিরব বলতে পারেন,
মাফ করবেন আদেশ অমান্যে শাস্তি দিতে পারেন।
যখন শরীরে অনুভব করলাম উমা আসছে
হৃদয় জুড়ে সে কি শিহরণ আমি মা হবো।
ওর জন্ম চিৎকারে আমার মুখে ছিল স্বর্গীয় হাসি।
ওরা মা ডাকে ছুটে ছুটে যাই বুকে তুলে নিই।
ওর অলকানন্দা হাসিতে সব যন্ত্রণা ভুলেই ছিলাম।
আমাদের অভাব ঘরে ও ছিল অনন্য বৈভব।
কি জানি কাহাদের শকুন দৃষ্টিতে
চিরকালের জন্য হারিয়ে গেল।
এই ডিজিটাল জগতে মধ্যযুগীয় আচরনের অন্ধকার।
সদুত্তর মেলেনা সবই যেন ধূসর কুয়াশাবৃত।
আমার উমা বাড়ি ফেরেনি,
আমায় কি উৎসব মানায়!
আজ বিশ্বের খবরে অলকানন্দা জোরদার প্রশ্ন
সবাই চায়ছে সে যেন ন্যায্য বিচার পায়।
বুকের উপর বিশাল জিজ্ঞাসার একটা পাহাড়?
শোকের পাহাড় ফেলে উৎসবে কেউ ফিরবনা।
আমাদের উমা বাড়ি ফেরেনি
আমাদের উৎসব মানায়না।