এমনি কিছু রয়ে গেছে
দুহাতের আঙুলের ফাঁকে।
আঙুল ছুঁয়ে বলে দাও যত গৃহস্থালি
অনায়াসে থালায় ধুমায়িত সাদা জুঁই।
সবাই যখন ফিরে গেছে উচ্ছিষ্ট রেখে
তুমি তখন নিঃশব্দে খুঁজে ফিরছ হাঁড়িতে
আর কি কিছু আছে অবশিষ্ট।
সারিবদ্ধ নিরাশ কাকেরা উড়ে গেল অন্যত্র।
অন্যের ঢেকুর তোলায় তোমার কি পরমতৃপ্তি!
অন্ধকারে আলো জ্বেলে জ্বেলে বেড়াও
নিজেই থাকো সলতে পাকানো আঁধার ঘরে।
নিজের ইচ্ছা আশার আলো নিভিয়ে
যাদের আলোকিত করেছ জীবনভোর,
তারা বুঝি তোমায় খুব বোঝে দেয় খুব মান।
কোন একদিন হাসির ছলনায় রেখে আসে
ব্যস্ত স্টেশনে বা কামড়ার ভিড়ে
-এই গেলাম আর এলাম বলে।
তবু ফুটে ওঠেনা অভিযোগ অনুযোগ কোন।
এমনি এক ঈশ্বরীয় ধৈর্য তোমার চারিধারে।
কাগুজে কিছু বুলি ঘুরে বেড়ায় বিশ্বলোকে
যা তোমার সারা জীবনের পুঁজি, থাকে সিন্দুকে।
বার বার পুরনো বাসন নতুন করে রাখা
এইতো তোমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
নিজেকে মাটির মতন করে সব সহ্য করো;
কবে তুমি নিজেকে সময় দেবে
কবে নিজের জন্য খাবার রান্না করবে
কবে সূর্যোদয় দেখতে যাবে পাহাড়ে
কবে যাবে নীল সমুদ্রস্নানে।
এমন দিন আসবে। যখন সময় এসে বলবে
তোমার জন্য সোনালী বালুতট সাজিয়ে রেখেছি
লক্ষ্মী পায়ের ছাপ রেখে চলে এসো সুদূর নীলিমায়।