অনন্ত আজ আবার তোমার বাড়ি যাবো।
কবে কোন একদিন পূবের আলপথ ধরে,
সূর্যের আলো সারা শরীরে মেখে,
পায়ে পায়ে তোমার বাড়ি পৌঁছে গেছিলাম।
তখন তুমি ছিলে ঠিক আমার পাশে পাশে।

যদি কোনদিন একলা একলা আসো...
তাই বলেছিলে বাস থেকে নেমে
ঐ দূরে দেখবে তালগাছের সারি
নিশানা করে এগিয়ে যেও,
তারপর বামদিকে
তিনখানা বাতিস্তম্ভের পর একটা গলি।
কিছুটা যাবার পর পুরানো মুদিখানা দোকান।
ছাড়িয়ে চলে গেলে ডানদিকে দেখবে
একটা মিষ্টির দোকান নাম ভোলাময়রার মিষ্টি।
তার উল্টোদিকে বেশ বড় একটা খেলার মাঠ।
এক্কেবারে নিশ্চিন্তে পেরিয়েই পাবে চতুর্মুখী রাস্তা;
রবিঠাকুরের মন মুগ্ধকরা এক বিশাল মূর্তি,
কবির মুখ যেদিকে সেইদিকে দুমিনিট হাঁটাপথ।
কাউকে বললেই সে দেখিয়ে দেবে...
শুধু বলতে হবে ''ব্রততির গানের স্কুল'' যাব।
ঐ বাড়ির পাশের বাড়িটায় আমি থাকি।

অনন্ত আমি তোমার বাড়ি যাচ্ছি।
বাস থেকে নেমে আমি যে ভীষণ দিশাহারা।
তোমার পথ নির্দেশনা কিছুই মিলছেনা...
একী! এযে ভীষণ পরিবর্তন!
মনে মনে কিভাবে কখন কিকরে জানি
পিছনে চলে গেছে কুড়িটা বছর;
আমি বুঝিনি বুঝতে পারিনি।
এ যেন এই কিছুদিন আগেকার কথা।
তোমার সাথে দেখা করবার বিশেষ প্রয়োজন।
পথের ধারে একাই দাঁড়িয়ে আছি,
তোমার জন্য অনন্ত অপেক্ষায়।
যদি পারো আরও একবার
তুমি কাছে এসে নিয়ে যেও।
অনন্ত, আজ আমি তোমার বাড়ি যেতে চাই।