তিলোত্তমা তোমায় না জানিয়ে পারলাম না। কাল তোমার জন্য বেড়িয়ে ছিলাম পথে পথে হাঁটব বলে। তোমায় নিয়ে শহর জুড়ে কি ভীষণ গুঞ্জন।এখানে ওখানে সবখানে মিছিল আর মিছিল। ইস্কুলের ছোট ছোট মেয়েরদল চলে গেল নীরবে মিছিল করে আমাদের সমুখ দিয়ে। আবহাওয়া দফতরের ভবিষ্যৎবানী প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে শহর ছিল মিছিলমুখী। "দ" হয়ে যাওয়া মহিলাকে দেখে আমার অহংকার চূর্ণ হয়ে গেল একনিমেষে। দিব্যি সে হেঁটে যায় বাঁকানো লাঠিতে ভর করে মৌনমিছিলে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। দৃঢ় প্রত্যয়ী চোখ তার মুখর ছিল, যেন সে বলছে সত্যের প্রকাশ চাই ন্যায্য বিচার চাই।
শুরতেই হাতে হাতে উঠে এলো তোমায় নিয়ে প্রতিবাদী পোস্টার। ভাটপাড়ার পড়ুয়া মেয়ে এসে বলে তার কবিতায় গান বেঁধেছে তোমার নামে সেই গানটাই গায়বে। তার বানীতে উঠে আসে তোমার যন্ত্রণা কথা। মহাকাব্যের নারী থেকে সতীদাহ পর্যন্ত শেষে আজকের অবহেলিত নারীকথা। মৌনমিছিল শুরু হয় বজ্র বিদ্যুতে অবিরাম বৃষ্টিধারায়।  ভিজে যায় রাজপথ থমকে যায় গাড়ি রাস্তায় সারিবদ্ধ মানুষ আমাদের সাথে অকাতরে ভিজতে থাকে। বিচিত্র সে এক অনুভূতি! পথ যেন পথ করে দেয় বলে যাও মিছিল যাও এগিয়ে যাও। কিছুতেই থেমনা ছিনিয়ে নিয়ে এসো ন্যায্য বিচার।