তবু তোমায় লিখে যাই আমি আমার মন কথা
তুমি কি পড়বে নিতান্ত অবহেলেয়ায় কোনদিন,
একবার যদি দেখো
তবেই ওরা ফুটবে
ছন্দে বর্ণে রঙে হয়ে উঠবে আগামীর কবিতা।
তবু তোমায় লিখি, কেন জানি মনে হয় নন্দিনী
এসব হিজিবিজি একদিন নিশ্চয় পড়বে;
যন্ত্রণার সরোবরে হাজার পদ্মবীজ
কালো পাঁকের ভিতরে হবে প্রকাশ
শতদল টলমল করে দুলবে স্বচ্ছ কালো জলে।
কাল রাতে সারারাত ধরে অজস্র লিখেছি নন্দিনী
যে মেয়েটা শিকল ছিঁড়তে চেয়েছিল
তাঁকে কারা যেন মিলে মিশে বধ করেছে;
এ ঘটনায় রাত জাগতে হয়।
এ যন্ত্রণা আসেনা, মনে পড়ে তুমিও নির্ঘুম থাকতে।
ভোরের আলো নিমের ডালে কি যেন লিখছিল
টুনটুনি এসে ঘুরে ফিরে গেল
কালো কাক এলো উড়ে গেল
তারপর যে এলো সেও কালো গান গাইল
মনে হলে বসন্ত এলো এ যেন আগামীর কবিতা।
তুমি কি এখনো বিছানায় উপুড় হয়ে লেখো নন্দিনী
কলমের পিছন কামড়ে শব্দ হাতড়াও
শিকল ভাঙা কবিতা ভালবাসতে শিখিয়েছিলে
সেই শিকল কেন পড়লে? উত্তর দাওনি...
উত্তর খুঁজি নগর বন্দরে, তাই আজো তোমায় লিখে যাই।