সুস্নাত

ভালো থাকবার পাসওয়ার্ড খুঁজে চলেছি। ঠিক এই সময় তুই আমায় ছেড়ে চলে গেলি। আমি এখন একলা একলা কি করে থাকি বল? তুই আমি ভালো থাকব বলে একটা একটা করে ঝিনুক ভেঙে ভেঙে ফিরছিলাম বালুকাবেলায়।কিন্তু ঝকঝকে উজ্জল মুক্তোর মত সম্পর্কটা গড়ে উঠছিল না। একদিন তোর হতাশ থমথমে মুখ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ-ই সেদিন হাত ছেড়ে আকাশের দিকে মুখ করে নির্দ্বিধায় বলেছিলি - পল্লবী, আমাদের সম্পর্কটা আর এগিয়ে নিয়ে যাবনা, আজি এখনি ভেঙে দিলাম। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই সটান চলে গেলি তোর নিজের মত নিজের পথে। আমার পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছিল, কথা হারিয়ে বেবাক বোকার মত তোর দিকেই চেয়েছিলাম। কতক্ষন জানিনা। ভেঙে যাওয়া আয়নার মতন হৃদয় বিনা শব্দে শত শত টুকরো হয়ে ভেঙে ছড়িয়ে গিয়েছিল। একটা একটা করে জুড়তে চাইলেও জুড়লনা। ভেবে দেখলাম, সত্যি সত্যিই তুই আমার কাছের মানুষ হলে নিশ্চিত একবার অন্তত ফিরে চেয়ে দেখতিস। আমার কি অবস্থা।
    মিথ্যে ছিল সেই সব ভাবনা, সেই সব মুহূর্ত, সেই সব হাসি গান গল্পকথা এক নিমেষেই হয়ে গেল অতীত... আর স্মৃতির ভার। বালুর চরে পাহাড়ের গায়ে জারুলের গায়ে নাম লিখে রাখা সবটায় ছিল মিথ্যে আর অভিনয়। দীর্ঘশ্বাস শুকনো পাতার উপর মর্মর ধ্বনি শুধু জাগায়। তখনই ফেলে যাওয়া পথ আমায় লক্ষ করে শুধু বলেছিল - কেউ না থাকুক আমিতো আছি! সে চলে গেছে দূরে বহুদুরে ছায়া বিন্দুর মতো মিলিয়ে গেছে; যাক... মিথ্যে মানুষের চেয়ে চরম সত্যি বাস্তব মেনে নেওয়া বরং ভাল। একবার আমার কথা ভাবো দেখি! এই যে আমাকে সবাই দুপায়ে মাড়িয়ে চলে যায় নিজেদের নিজ নিজ কাজে আমায় ক'জন মনে রাখে। তাই, মনের ভিতর বরফ সরিয়ে দিয়ে নিজেকে সবুজ করে তোল... দেখবে আকাশ থেকে নেমে আসবে চাঁদ তারা সূর্যের মতন নব পরিচয়ের যত সম্পর্ক, কি তাঁদের সুবাস। সকাল দুপুর রাতে ওরা আসবে হাসবে হাসাবে কাঁদবে কাঁদাবে। তোমায় জিজ্ঞাসা করবে বন্ধু তুমি কেমন আছো?