রক্তিম

      ২০২৪ চলে গেল। অতীত বছর অনেক প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল বিশ্বব্যাপী। সেই প্রবল বলশালী তরঙ্গ বছরের শেষে কোথায় হারিয়ে গেল, দেখতে নিশ্চয় পারছিস। ওরা পারে ক্ষমতার চেয়ারে চাঁদ-জ্যোৎস্নার চাবুকে আইন কিনে নিতে। তারপর কেমন বিকৃত হাসি হেসে ব্যঙ্গ করে বলে -দ্যাখ কিছু কি করতে পেরেছিস? এদিকে নিয়মমত এসে গেল ২০২৫। সময় সব ব্যথা যন্ত্রণা প্রতিবাদ ভুলিয়ে দেয় জানিনা কোন জাদুমন্ত্রে। নতুন দিন নতুন ভোর অনেক আশা ইচ্ছা আনন্দের খবর নিয়ে আসে। তুই আবার তৃষ্ণা পেয়েছে বলে ছুটবি মরিচিকায় আবার আবার ঠকবি। তাই বলছি যা হয়নি তা আর কোনদিন হবেনা বুঝলি। সব মেনে নে, মেনে নিতে শেখ। এখনো বলছি, এখন থেকে মনকে শান্ত কর আর প্রতিবাদী হবার চেষ্টা বন্ধ কর... সাবধান হয়ে যা।
জানতাম, তুই কিছুতেই পারবিনা। স্বার্থপর হয়ে নিজেকে নিজের জগত নিয়ে আরাম আয়েসে থাকতে পারবিনা। যেই একটা অন্যায় ঘটনা ঘটলো বিনামেঘে বজ্রপাত। তোর মাথার লাল পোকাগুলো তোকে আবার উজ্জীবিত করল। প্রাক্তন কর্মক্ষেত্রে তখনি তুই ঝাঁপিয়ে পড়লি নির্দ্বিধায়।বছরের প্রথমদিনেই নতুন কর্মকর্তা বললেন -আজ থেকে তোমাদের আর কাজ নেই, তোমরা আসতে পারো।'' ওরা হোল অস্থায়ী কর্মচারী। ওদের চোখে জল ওদের সংসার খড়কুটোর মত ভেসে যাচ্ছে, ওদের হাহুতাশ কান্নায় তোর বুকে মোচড় দিল।
       তোর ভাবনার সাগর উথাল পাথাল, সত্যিইতো এর পর ওরা কি খাবে? ওরা তোর কে হয়? আপনজন? নাতো! ওদের নিয়ে লেগে পড়লি নতুন এক গভীর আন্দোলনে। ওদের হাতে পুরনো কাজ কি করে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেই চিন্তা করে আবার রাত্রি জাগতে শুরু করে দিলি। তোর বুকভরা নিশ্চিত বিশ্বাস এই অসম আন্দোলন তুই নিশ্চিত জয়ী হবি। ঠিক আছে যা... যা... আলোর দিকে ছুটে যা... জানতাম তোকে কিছুতেই ফিরানো যাবেনা। তুই যে সূর্যমুখী!


ইতি তোর বিবেক