ছোট্ট একটা চিঠি কত যে আবেগ মাখা
কোথাও কঠিন খরা কোথাও ছড়িয়ে মুগ্ধতা;
মালিনীকে একটা কথা বলা হয়নি
আমরা দুজনে যে গাছ বসিয়েছিলাম
ওটা এখন ফুল হচ্ছে নীল রঙের।
তোর কথা ভুল প্রমাণিত করতে চেয়েছিলাম,
বলেছিলি ওটা কৃষ্ণচূড়া নয় আমার সন্দেহ ছিল।
তবু তোর মুখ চেয়ে বলেছিলাম
হবে হয়তো। মনে মনে জানতাম তুই মিথ্যে।
একদিন আমাদের ভালবাসা ঠিক অমর হবে...
ঠিক ঐ লাল টকটকে কৃষ্ণচূড়ার মতন।
ঘটা করে সকাল বিকাল জল দেওয়া ছিল
ছিল সুগভীর যত্নের পর্যবেক্ষণ।
দেখিতো আমাদের গাছ আজ কতটা বড় হল।
ধৈর্য যেন আর ধরেনা, দিন মাস বছর ঘুরে যায়;
বর্ষা যায় ফাগুন ফিরে আসে, জাগে নতুন কিশলয়।
একদিন গাছের যখন কিশোরী বেলা
গাছের ডালে কোকিল এসে বসে।
লাল চোখে এদিক ওদিক চায় কি যেন বলে যায়।
কয়েকবার ডাক দিয়েই উড়ে গেল অন্যগাছে।
আমাদের হঠাৎ খুশি নিমেষে যেন ফুরিয়ে গেল।
দুজনে দুজনার মুখ চাওয়া চাওয়িতে খুব হেসেছিলাম।
তারপর ছুট দিয়েছিলাম রঙিন প্রজাপতি ধরতে।
পরেরদিন সকালে খুব মন খারাপ হয়ে যেত
ওরা তখন আর কেউ বেঁচে থাকতনা।

মনের যন্ত্রণার রঙ বুঝি নীল হয়!
একদিন দেখি যুবতী গাছে থোকা থোকা নীল ফুল।
মালিনী তুই হয়তো ঠিকই বলেছিলি,
ভালবাসায় বিশ্বাস রেখে আমিই ছিলাম অবুঝ।
তাইতো আশার লাল কৃষ্ণচূড়া যন্ত্রণায় নীল হয়।
ভালো থাকিস অন্য কোনখানে
অন্যকারোর বাসায় লাল কৃষ্ণচূড়ার আদরে।