চিক চিক ঝর ঝর ঝর্ণা
ঝক ঝকে রুপালী বর্ণা
আমি তোকে চিনিনা
তুইও আমার পর না
বল দেখি তোর কি ঠিকানা
জানিনা জানিনা যাব দূর মোহানা
একটু ধীরে ধীরে চলনা
এখন আর দাঁড়াবার সময়তো না।

কূল কূল ঝিল মিল বকছিস
সর্পিল গতিতে চলছিস
সামনের বাধা সব ঠেলছিস
যাবি কতদূর পথটা কি চিনিস।
পথ ঘাট হাট মাঠ চিনিনা
চলবার ছন্দে পিছু ফিরিনা
ডাকে যদি মা আয় বাছা আয়'না
সেই ডাকে আমি সাড়া আর দিইনা।

নামটা কি তোর বলবিনা
দেমাকেতে মটমট মাটিতে পা পড়েনা
পাথরটা বিশাল টপকাতে পারবিনা
খাদে পথ হারাবি আর যেতে পারবিনা।
সোনা সোনা রোদ্দুর গায়ে মাখছি
রুপা রুপা চাঁদ আলো সয়ে নিচ্ছি
সহজেই সব বাধা টপকাতে পারছি
যে নামে ডাকো দেবো সাড়া কথা দিচ্ছি।

সমতলে এসে তুই সীমানা বাড়াস
মাঠ ঘাট ধুয়ে দিয়ে কি বোঝাতে চাস
নটরাজ নৃত্যে বিন্দাস বৃষ্টিতে ভয়টা দেখাস
গর্ব খর্ব তোর প্রবল খরায় হাঁসফাঁস হাঁসফাঁস।
কি আর করি এ আমার জীবনের ধারা
সমাজ জীবনে গতি আলো খুশি ঝরা
জীবনের শেষে এসে হই বাঁধন হারা
সাধন গীত শেষ করে হই মুক্তধারা।